• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

পতাকার মর্যাদা ধরে রাখতে সেনা সদস্যদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। একইসঙ্গে বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত হয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চারটি গোলন্দাজ রেজিমেন্টের জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে আয়োজিত প্যারেডে রাষ্ট্রপতি অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'আবহমান কাল থেকেই যুদ্ধের ময়দানে জাতীয় মর্যাদার প্রতীক পতাকা বহনের রীতি আছে। পতাকা হল জাতির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সম্মান এবং মর্যাদার প্রতীক। তাই পতাকার মান রক্ষা বরা সকল সৈনিকের পবিত্র দায়িত্ব। জাতীয় পতাকা বহনের দুর্লভ সুযোগ সবার জীবনে আসে না।'

পতাকা পাওয়া সেনাসদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'কর্মদক্ষতা, কঠোর অনুশীলন এবং কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতি হিসেবে যে পতাকা আপনারা পেলেন, তার মর্যাদা রক্ষার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে আপনারা সবসময় প্রস্তুত থাকবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই ইউনিটের সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবীত থেকে জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে পিছপা হবে না।'

'মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষার পাশাপাশি জাতির যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি আশা করি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিটি সদস্য বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।'

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং সেনাবাহিনী তথা দেশমাতৃকার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির ইউনিটগুলোকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে জাতীয় পতাকা দেওয়া হয়। এর সূত্র ধরে সেনাবাহিনীর ১, ২ ও ৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি এবং ৩৮ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারি পেয়েছে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ওয়াসিয়া আয়েশা খান, মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসসহ আমন্ত্রিত অতিথি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ছিলেন।