• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কোম্পানি হচ্ছে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৯  

পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কোম্পানি গঠনের বিধান রেখে ‘তেজস্ক্রিয় বর্জ্য এবং ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক জাতীয় নীতি’র খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) আওতাধীন রয়েছে। আইএইএ-এর গাইড লাইন অনুযায়ী এগুলো পরিচালিত হবে।

‘অ্যাটোমিক এনার্জি যেহেতু একটি স্পর্শকাতর ও বিপজ্জনক এনার্জি, এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটা গাইড লাইন দরকার। আইএইএ-এর যে গাইড লাইন আছে সেটার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সে অনুযায়ী এই নীতিমালাটা তৈরি করা হয়েছে। বর্জ্য দিয়ে যেন কোনো রকম দুর্ঘটনা বা বিপদের মধ্যে না পড়তে হয়। বর্জ্যটা ব্যবস্থাপনার জন্য গাইড লাইন তৈরি করা হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রূপপুরে দু’টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে। এর যে বর্জ্য তা চুক্তি অনুযায়ী সরাসরি রাশিয়া সিল করে নিয়ে গিয়ে সেখানে ডিসপোজ করবে, আমরা না। যেহেতু তাদের বিশাল দেশ, ডিসপোজালের অনেক জায়গা আছে। আমাদের ওরকম জায়গা নেই আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ জায়গা।

‘নীতিমালা অনুযায়ী, গবেষণা চুল্লি, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট অপারেশন, চিকিৎসাশিল্প, খনিজ সম্পদ আহরণ, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা, প্রশিক্ষণ বা বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় পদার্থের উৎপাদন ও ব্যবহার। এসব ক্ষেত্রে অ্যাটোমিক এনার্জি ব্যবহার করা হয়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা বা আইএইএ-এর ইনস্ট্রাকশন তো আমাদের আছেই।’

কীভাবে বর্জ্য ডিসপোজাল করা হবে তা নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, বর্জ্য উৎপাদনকারী কারা কারা আছেন, তাদের উৎপাদিত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ও ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি অর্থাৎ যে দূষণ করবে সে টাকা দেবে। এটা আন্তর্জাতিক নীতি। যে দূষণ করবে তাকে টাকা দিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে।

তিনি বলেন, পারমাণবিক জ্বালানির পরিমাণ যুক্তিসঙ্গতভাবে সীমিত রাখতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ জ্বালানি অ্যাসেমব্লি সিল করা বা বাক্সে সংরক্ষণসহ পরমাণু চুল্লির রিঅ্যাকটর কোরের পরিচালন সময়কালে যেকোনো সময় আনলোড করতে হবে- এমন সম্ভাবনা বিবেচনা রেখে ব্যবহৃত জ্বালানি সংরক্ষণ স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যাতে কমপক্ষে ১০ বছর ব্যবহৃত জ্বালানি সংরক্ষণ করা যায়।

‘এজন্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন একটা এজেন্সি নিয়োগ করবে। এটার নাম হল তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোম্পানি। অর্থাৎ আরডব্লিউএমসি নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করবে। এদের এক্সপার্টিজ থাকবে, এরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করবে। সারা বাংলাদেশে যত অ্যাটোমিক এনার্জির বর্জ্য পাওয়া যাবে সেগুলো ব্যবস্থাপনা তারা করবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা যে আস্ট্রাসনোগ্রাফি করি এগুলোর মধ্যেও সীমিত পরিসরে অ্যাটোমিক এনার্জি ব্যবহার করা হয়। এক সময় অ্যাটোমিক এনার্জির প্রয়োজন হবে। এজন্য আগে থেকে নীতিমালাটি করা হয়েছে। এই নীতি স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সব খাত কাভার করবে। তবে নেতৃত্ব দেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।