• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: আসামিদের পক্ষ নেয় বিএনপি-জামায়াতের আইনজীবীরা

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

২০০৯ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট বারবার অস্বীকার করে আসছে যে, বিডিআর বিদ্রোহ ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাদের কোন যোগসাজশ নেই। অথচ ওইদিন বিএনপির হাইকমান্ডের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় তৎকালীন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরুদ্দিন পিন্টু এই ঘটনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি-জামায়াতের একাধিক সিনিয়র নেতাকর্মী। পরে তাদের কৃত এই অপকর্ম ঢাকতে ও কৌশলে দায় এড়াতে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে। কিন্তু সঠিক আইনি পদক্ষেপ ও সচেতন মহলের তৎপরতায় তা ভেস্তে যায়। বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। পরবর্তীতে দেখা যায়, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দায় সরকারের ঘাড়ে চাপাতে মামলায় আইনি লড়াইয়ে অভিযুক্তদের পক্ষে অংশ নেয়া বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। দেশীয়-আন্তর্জাতিক মহলে বিএনপি-জামায়াতের এহেন ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড নিয়ে পড়ে যায় ছিঃ ছিঃ রব। যা এখনো চলমান।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলো শুরু থেকেই পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে আসছিল। এমনকি তারা নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে অপপ্রচার চালিয়ে বলছিল, এই কাজ দেশের বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ঘটিয়েছে। ওই সময় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ বলেন, ভারতের চক্রান্তে একাধিক পত্রিকা ও এনজিও পিলখানা হত্যাযজ্ঞের জন্য দায়ী। অথচ রহস্যজনকভাবে, বিএনপি-জামায়াতই পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় আসামিদের পক্ষে আইনি লড়াই করেছেন। এ থেকে স্বচ্ছ জলের মতো পরিষ্কার, কারা এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলায় আসামিদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে অংশ নেয়া আইনজীবীরা হলেন-ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। ব্যারিস্টার রফিকুল হক, খালেদা জিয়ার প্রধান আইনজীবী। অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান, হাওয়া ভবনের বিশেষ সুপারিশে নিয়োগপ্রাপ্ত জোট সরকারের পিপি। সাবেক ছাত্র শিবির নেতা অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে আইনি লড়াই চালাতে যুক্তরাজ্য থেকে জামায়াতের ব্যারিস্টার আমদানির সমন্বয়কারী ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিএনপিপন্থী। অ্যাডভোকেট সুলতান, সাবেক শিবির নেতা ও ব্যারিস্টার রফিকের সহযোগী। অ্যাডভোকেট জামাল, বিএনপিপন্থী আইনজীবী। অ্যাডভোকেট সুলতানা আক্তার রুবি, অ্যাডভোকেট আমিনের সহযোগী ও বিএনপিপন্থী। অ্যাডভোকেট সুফিয়া আক্তার হেলেন, অ্যাডভোকেট আমিনের সহযোগী ও বিএনপিপন্থী। অ্যাডভোকেট রমজান খান, অ্যাডভোকেট আমিনের সহযোগী ও বিএনপিপন্থী। অ্যাডভোকেট জহিরুল আমিন, অ্যাডভোকেট আমিনের সহযোগী ও বিএনপিপন্থী। অ্যাডভোকেট মো. জয়নুল আবেদীন, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, বিএনপিপন্থী। অ্যাডভোকেট টি এম আকবর, বিএনপি নেতা ও বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি। অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, জামায়াতপন্থী এবং যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর অন্যতম কৌঁসুলি। অ্যাডভোকেট শামীম সরদার, সুবিধাবাদী। অ্যাডভোকেট শেখ রাশেদুল হক, বিএনপিপন্থী। অ্যাডভোকেট মাজেদুর রহমান মামুন, বিএনপিপন্থী। অ্যাডভোকেট এস এম রেফাজ উদ্দিন, বিএনপিপন্থী। অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ, বিএনপিপন্থী। অ্যাডভোকেট খন্দকার জামাল, বিএনপিপন্থী। অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, বিএনপিপন্থী। অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর, বিএনপিপন্থী। অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক লাল, বিএনপিপন্থী।

পিলখানার ঘটনায় তৎকালীন প্রভাবশালী এক বিএনপি নেতা ব্যঙ্গ করে বলেন, কিছু প্রাণী মারা গেছে। তার এই বক্তব্যের পরপরই সুধীমহলে শুরু হয় আলোচনার ঝড়। যা এখনো চলছে।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা বিএনপির পূর্ব পরিকল্পিত একটা হত্যাযজ্ঞ। এর নীলনকশা খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা তৈরি করে। আর তা বাস্তবে রূপ দেয় নাসিরুদ্দিন পিন্টু। আর এটা তো মুখের কথা নয় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত, গণমাধ্যমে আসা খবর ও আইনি প্রমাণে এর সত্যতা মিলেছে। তবুও তারা চোরের মায়ের বড় গলা’র মতো করে বলে আসছে, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। অথচ তারাই যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটি নতুন করে আর বলার অপেক্ষা নেই।