• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

পেটের মেদ কিছুতেই কমছে না কারণ...

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০১৯  

 

খাবার থেকে শুরু করে শরীরচর্চা— অনেক চেষ্টা করছেন, অথচ আপনার পেটের মেদ একেবারেই কমছে না? কোথায় ভুলটা হচ্ছে? চলুন, পেটের মেদ সংক্রান্ত এই প্রশ্নটির উত্তর জেনে নিন এই লেখায়- 


 
পেটের মেদের ধরণটা কী?

আপনি যদি অনেক অনেক চেষ্টার পরেই পেটের মেদ না কমাতে পারেন, সেক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে যে আপনি ভুল পদ্ধতি অনুসরণ করছেন। আমাদের পেটের মেদ ভিন্ন ভিন্ন কারণে তৈরি হয় এবং তাদের আকৃতি আলাদা হয়। মানসিক চাপের কারণে এক রকমের মেদ তৈরি হয়, আবার হরমোনের কারণে এক রকমের মেদ তৈরি হয়। আর এই মেদের কারণভেদে সমাধানটাও ভিন্ন ভিন্ন হয়। চিকিৎসকের সাথে কথা বলে আপনার পেটের ধরণ এবং সেটা ঝরানোর সঠিক উপায় সম্পর্কে জেনে নিন। 

ওজন নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা নয়!

অনেকেই ওজন নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করে ফেলেন। একটু পর পর নিজের ওজন মেপে দেখা থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারেন না তারা। এই সমস্যাটি আপনার মধ্যে থাকলে সেটা থেকে বিরত থাকুন। 

কারণ, আপনার এই অতিরিক্ত মনোযোগ মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থতা তৈরি করে তুলতে পারে। শরীরচর্চা করার প্রতি আপনাকে উদাসীন করে তুলতে পারে। একটা সময় মানসিক চাপ এবং সেখান থেকে অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া ইত্যাদি ঘটতে পারে। এতে করে ওজন তো কম্বেই না, বরং আরও বেড়ে যাবে। 

খাবার নিয়ে সতর্ক না থাকা-

আপনি হয়তো একবেলা খুব স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন, আর অন্যবেলায় গিয়ে ফাস্ট ফুড খাচ্ছেন। এমনটা কিন্তু মোটেও আপনার শরীরের জন্য ভালো নয়। যদি আপনার স্বাস্থ্যকর খাবারে অনেক বেশি চিনি থাকে, তাহলেও সেটা অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়বে। তারমানে কিন্তু এই নয় যে, আপনাকে শুধু ফল এবং সবজি খেয়েই থাকতে হবে। 

চেষ্টা করুন সব রকমের খাবার খাওয়ার। অবশ্যই ফাস্ট ফুড নয়, তবে ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে এমন সবগুলো খাবার মিশিয়ে খান। যাতে করে আপনার শরীর কোন পুষ্টি উপাদান থেকে একেবারেই দূরে না থাকে।

শরীরচর্চায় কোন পরিবর্তন না আনা- 

আপনি কি নিয়মিত একই রকমের শরীরচর্চা করে যাচ্ছেন এবং সেটার কোনো প্রভাব পড়ছে না শরীরের ওপরে, ওজন কমছে না? আমাদের শরীর খুব দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যায়। আপনি যদি একই রকম শরীরচর্চা নিয়মিত করতে থাকেন, তাহলে একটা সময় গিয়ে সেটি আপনার শরীরের মেদ আর কমাবে না। তাই, চেষ্টা করুন প্রতিনিয়ত শরীরচর্চায় কিছু ভিন্নতা রাখতে। 

মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন- 

মানসিক চাপ খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তবে মানসিক চাপের কারণে আমরা অনেকসময় বেশি খেয়ে ফেলি। এর প্রভাবে স্থুল হয়ে যায় দ্রুত। অন্যদিকে, মানসিক চাপে থাকলে আমাদের শরীরে করটিসল নামক হরমোন জন্ম নেয়। এর ফলেও আমরা স্থুল হয়ে যাই। চেষ্টা করুন স্বাভাবিকভাবে কাজ করার, মানসিকভাবে শান্ত ও ভালো থাকার। বন্ধুদের সাথে কথা বলুন, নিজেকে সময় দিন। এতে করে মানসিক ও শারীরিক- দুইভাবেই আপনি ভালো থাকবেন। 

অতিরিক্ত পরিমাণ এন্ড্রোজেনস- 

অনেকসময় আমাদের শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ এন্ড্রোজেনস থাকে। এর অর্থ, পুরুষের শারীরিক হরমোন নারী শরীরে অনেক বেশি পরিমাণে থাকা। এমনটা যদি হয়, সেক্ষেত্রে শারীরিক ওজন বেড়ে যায় এবং এই ওজন কমানো অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ে। আপনার এমন সমস্যা রয়েছে কিনা তা জানতে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। যদি এই সমস্যা ধরা পড়ে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কাজ করুন।

ওপরের এই কারণগুলোর যেকোনো একটি কারণেই আপনার শরীরের মেদ, বিশেষ করে পেটের মেদ বেড়ে গিয়ে আর না কমতেই পারে। কিন্তু এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মেদ না কমার কারণটি চিহ্নিত করুন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন। দেখবেন, পেটের মেদ নিমিষেই কমে গিয়েছে।