• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

প্রত্যাখ্যাত হয়ে মিথ্যাচারে মগ্ন বিএনপি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২১  

জনগণ দ্বারা বারবার নির্বাচনে প্রত্যাখ্যাত হয়ে অবলীলায় মিথ্যাচারে মগ্ন রয়েছে বিএনপি। জন সম্পৃক্ত কোনো কর্মসূচি না পেয়ে দলটির নেতাদের সব মিথ্যাচারের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে প্রেস ব্রিফিং, বিদেশি কূটনীতিক এবং সোশ্যাল মিডিয়া। একের পর এক মিথ্যাচার করার কারণে হতাশায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে খোদ দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা।

সূত্র বলছে, জামায়াত-বিএনপি জোট দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছিল। জামায়াত-বিএনপি জোটের শাসনামলে বাংলাদেশের জুটেছিল টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের দুর্নাম। এখন দেশের চলমান ঈর্ষণীয় উন্নয়ন দেখে বিএনপি রাজনৈতিক কোনো ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না। দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান লন্ডনে বসে মিথ্যাচারের মাধ্যমে কোনো ইস্যুর জন্মও দিতে পারছেন না। এজন্য ইতিহাস বিকৃত করেন ও আক্রমণাত্মক ভাষায় কথা বলেন তারেক রহমান।

দেশে তারেক জিয়ার খলিফা খ্যাত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রেস ব্রিফিংয়ে মিথ্যাচার ও বিষবাষ্প ছাড়া কোনো কথা বলতে পারেন না। নিজের দলের অনিয়ম ও তারেক রহমানের মনোনয়ন বাণিজ্যে দলের বেহাল দশার দিকে কারো নজর নেই। দলের ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপির একমাত্র হাতিয়ারই মিথ্যাচার।

এক সময় বেগম খালেদা জিয়াসহ দেশ বিরোধী সুশীলদের চক্রান্তে স্বপ্নের পদ্মাসেতু নির্মাণের জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ হয়। এই পদ্মাসেতু নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ও তার দলের নেতাকর্মীরা কটাক্ষ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় আজ স্বপ্নের পদ্মাসেতু দৃশ্যমান।

অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের ধারাবাহিকতায় বিএনপি করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। করোনার ভ্যাকসিন আসার ব্যাপারে সবকিছু এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য টাকা ব্যাংকে জমা রেখেছে। সেরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে ভ্যাকসিন রফতানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আর বিএনপি মানুষের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়াতে গণমাধ্যমে নানা মিথ্যাচার করছে। এসব মিথ্যাচারের বিপরীতে বিএনপি আজও কোনো প্রমাণ দিতে সক্ষম হয়নি।

দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া বিএনপি এখন দুই চোখে ধ্বংস দেখতে পায়। দেশে ধ্বংসযজ্ঞের বদলে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর গহ্বরে বঙ্গবন্ধু টানেলসহ অনেক মেগা প্রকল্প চলছে। এসব প্রকল্প দেখে হতাশায় ভুগছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিএনপির রাজনীতি গোছালো নয়, জন সম্পৃক্তও নয়। লন্ডন থেকে তারেক রহমান এক ধরনের নির্দেশনা দেন আবার খালেদা জিয়া আরেক ধরনের নির্দেশনা দেন। তারেক রহমান তার আর্থিক স্বার্থ বেশি দেখেন। মনোনয়ন বাণিজ্য, কোন্দল, পেশি শক্তির রাজনীতি, গ্রুপিং আর নেতাদের ভোগবিলাসে বিএনপির সর্বনাশ হচ্ছে। এর মধ্যে বিএনপি জন সম্পৃক্ত কোনো ইস্যু না পেয়ে কৌশলের অংশ হিসেবে কিছু কিছু মিথ্যাচার করে।

বর্ষীয়ান এ নেতা আরো বলেন, দেশে বাক স্বাধীনতা রয়েছে। তবে আমরা বাক স্বাধীনতা আমাদের মতো করে চাই। দেশ ও জনগণের জন্য লাগাম ছাড়া বাক স্বাধীনতা কারো কাম্য নয়। যেকোনো দল ক্ষমতায় আসলে লাগাম ছাড়া বাক স্বাধীনতা মেনে নেবে না। এমনকি বিএনপি ক্ষমতায় আসলে উন্মাদ প্রকৃতির বাক স্বাধীনতা মানবে না। বাক স্বাধীনতার ব্যাপারে বিএনপির মিথ্যাচার কৌশল মাত্র। অবিরাম মিথ্যা বিষোদগার করতে হলে বাধাহীন বাক স্বাধীনতা দরকার।

দলের আরেক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিএনপির অনেক রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত রয়েছে। এটা সত্য, নির্বাচন নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি অভিযোগ করে আবার জাতীয় সংসদে যোগ দিয়েছেন বিএনপির বিজয়ী এমপিরা। নির্বাচনের ফলাফল মেনে সংসদে যোগ দেয়ার কারণে আন্দালিব রহমান পার্থের বিজেপি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছেড়েছেন। এরই মধ্যে অনেকে ২০ দলীয় জোট ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মূলত, রাজনৈতিক ভুলের কারণে বিএনপি জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

এখন কূল রক্ষা করতে কিছু মিথ্যাচার করতে হবে বলে হেসে দেন বিএনপির এ কেন্দ্রীয় নেতা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশের মানুষ প্রযুক্তি ও জ্ঞানের দিক থেকে অনেক অগ্রসর হয়েছে। মিথ্যাচার দিয়ে রাজনীতির দিন শেষ হয়েছে। বিএনপির উচিত, দলের নানা ত্রুটি দূর করে জন সম্পৃক্ত নেতাদের প্রাধান্য দেয়া। প্রযুক্তির এই যুগে মিথ্যার ফুলঝুরি ছড়িয়ে জনগণের আস্থা বিএনপি কেন, কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে অর্জন এখন সম্ভব নয়।