প্রথম বিজয় দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২০
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর কবল থেকে মুক্তিলাভের প্রথম জাতীয় বিজয় দিবস উদযাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী ময়দানে এক জনসমাবেশের আয়োজন করা হবে। যেখানে জাতির জনক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণ দেবেন। বঙ্গবন্ধু সেদিন সেই সমাবেশে দেশের সংবিধান, প্রথম সাধারণ নির্বাচন ও বিভিন্ন জাতীয় বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভাষণ দেবেন। ১৯৭২ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান।
উল্লেখ, ১৯৭২ সালের ২৫ মার্চের কালরাত থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত হানাদার পাকিস্তানি জল্লাদ বাহিনী বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ইতিহাসের এক নজিরবিহীন মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞ, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ এবং এক ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বাংলার অগ্নিসন্তান মুক্তিবাহিনীর প্রচণ্ড দুর্বার আক্রমণে শোচনীয় পরাজয়ের মুখে ১৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ডের নিকট আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান এই জাতীয় বিজয় দিবসকে সফল করে তোলার জন্য দেশের সর্বস্তরের জনগণ, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
দশটি সংশোধনী প্রস্তাব বিবেচনায়
১৯৭২ সালের এই দিন গণপরিষদ ভবনের কমিটির পক্ষে দশটি সংশোধনী প্রস্তাব বিবেচনার কথা জানানো হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সেখানে জমা হওয়া প্রস্তাব থেকে এগুলো বাছাই করা হয়। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সদস্যদের কাছ থেকে প্রাপ্ত খসড়া সংবিধান সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ সম্পর্কে সাধারণ সভায় আলোচনা করা হয়। বৈঠক শেষে সংসদীয় দলের চিফ হুইপ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এ তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি আরও জানান, খসড়া সংবিধানের সংশোধনী প্রস্তাব পরীক্ষার উপ-কমিটি কর্তৃক বাছাইকৃত এবং সুপারিশকৃত সংশোধনের প্রস্তাবগুলো আলোচনা করা হয়। গত চারদিনে উপ-কমিটি প্রায় ৭৫টি সংশোধনী প্রস্তাব পরীক্ষা ও বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
ভোজ্যতেলে সোয়া কোটি লোক রোগাক্রান্ত
দেশে ভেজালবিরোধী বিশুদ্ধ খাদ্য আইন বলবৎ থাকা সত্ত্বেও ১৯৭২ সালের এই সময়টাতে রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পায়। সে সময় বনস্পতি সরিষার তেল পাওয়া যায়। বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য ৪০ থেকে ৬০ ভাগ ভেজাল দেওয়া হচ্ছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলছেন, কেবল ভোজ্যতেলে ভেজালের কারণে দেশের শতকরা ২৫ ভাগ লোক অর্থাৎ প্রায় সোয়া কোটি লোক পেটের পীড়া, চোখের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে।
বাঙালিরা আমার খাঁচায় বন্দি পাখি
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো পাকিস্তানে আটক বাঙালিদের ‘আমার খাঁচায় বন্দি পাখি’ বলে অভিহিত করেন। এপ্রিল মাসে করাচির পত্রিকায় প্রকাশিত এক সংবাদ থেকে এ তথ্য জানা যায়। এছাড়া সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সরকারি কর্মচারী হুমকি দিয়েছেন যে বাংলাদেশ ‘ভালো আচরণ প্রদর্শন না করলে’ পাঞ্জাবের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। এবং পাকিস্তানে আটক বাঙালিদের বন্দি হিসেবে রাখা হবে। এই হুমকি প্রকাশের পর ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিউ টাইমস-এ প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে ও ৫ সেপ্টেম্বর করাচি থেকে প্রকাশিত ডন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, ওই বছরের জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সুযোগদানের সম্মতির কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু মে মাসে আবার ঘোষণা করেন যে পাকিস্তান সরকার আটক বাঙালিদের জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধানের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে না। উল্লেখ্য যে ডন পত্রিকার নিবন্ধকার নাজিউল্লাহ সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
একই সূত্রে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানে আটক বাঙালি সামরিক অফিসার কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত ও নিরস্ত্র করা হয়। তাদের পরিবারের প্রায় ৩৯ হাজার সদস্যকে প্রাথমিক পর্যায়ে বেলুচিস্তান উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ বন্দিশিবিরে আটক রাখা হয়। পরে তাদের মাঝে অনেক অসুস্থ ব্যক্তিদের খাইবার গিরিপথের সাগাই দুর্গে অন্তরীণ রাখা হয়। পাকিস্তানে আটক বাঙালিদের ‘নাগরিক’ অথবা ‘শত্রু’ কোনও পর্যায়ে ঘোষণা করা হয়নি। পাকিস্তান সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে আটক বাঙালিদের জেনেভা কনভেনশনের আওতাবহির্ভূত রাখা।
করাচির পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়, প্রাথমিক, মাধ্যমিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রায় কুড়ি হাজার বাঙালি ছাত্রছাত্রীকে আটক করা হয়। সমস্ত বাংলা মাধ্যম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের বাঙালি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনেকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচারণা করছেন প্রার্থীরা
- মঠবাড়িয়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- হোয়াটসঅ্যাপে বিভ্রাটের অভিযোগ ব্যবহারকারীদের
- জিয়াউর রহমানের আমলে নারীদের পতিতাবৃত্তি করতে হয়েছে: কাদের
- লাইলাতুল কদরে কী দোয়া পড়বেন?
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা ইউজিসির
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের নতুন তালিকা প্রকাশ করলো ফোর্বস
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?