বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার মাও স্বাধীনতার একই স্বপ্ন দেখতেন
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যেমন স্বপ্ন দেখতেন আমার মাও স্বাধীনতার সেই একই স্বপ্ন দেখতেন। এ দেশের মানুষ সুন্দর জীবন পাক, ভালোভাবে বাঁচুক এই প্রত্যাশা নিয়েই তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সবসময় ছিলেন সজাগ এবং দূরদর্শী। তার পাশে সার্বক্ষণিক সাহস জুগিয়েছেন আমার মা। তিনি বলেন, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা পারেনি কিন্তু বাংলাদেশের যে সেনাবাহিনী আমার বাবার হাতে গড়া, যারা আমার বাবার হাতে প্রমোশন পেয়েছেন। আমাদের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল যাদের। তারাই আমার মা-বাবাসহ পরিবারের সবাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
শনিবার (৮ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুনন্নেসা ইন্দিরা উপস্থিত ছিলে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার কর্মময় জীবনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেগম মতিয়া চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহিলা ও বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ প্রান্তে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ১ হাজার ৩০০ সেলাই মেশিন, ১০০টি ল্যাপটপ ও ১৩ হাজার উপকারভোগীর মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী আপেক্ষ করে বলেন, যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুর হাতে সৃষ্টি। পাকিস্তান আমলে বাঙালি সেনাবাহিনীরা কখনো ‘মেজর’র ওপর কোনো প্রমোশন পেত না আর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু অনেককে মেজর জেনারেল করেছিলেন সেই মেজর জেনারেল জিয়া থেকে শুরু করে মেজর হুদা, নূর, কর্নেল ফারুক, কর্নেল রশিদ প্রমোশন পেয়েছিলেন। কর্নেল ফারুক তো আমাদের বাড়িতে ডিউটি করতেন, সিকিউরিটি ছিল, তারাই আমার মা-বাবাকে হত্যা করলো।
তিনি বলেন, মেজর ডালিম, তার বউ ও শাশুড়ি প্রায়ই আমাদের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। ২৩ জুলাই যখন বাংলাদেশ ছেড়ে আমি ও রেহানা জার্মানিতে যাব, সেদিন জয়ের জন্মদিন। আমাদের বাড়িতে ঘটা করে কারো জন্মদিন পালন হতো না। ঘরোয়াভাবে জন্মদিন পালন করছি। সেদিনও মেজর ডালিম, তার স্ত্রী ও ডালিমের শাশুড়ি এসেছিলেন। এমন কোনো দিন নেই তারা আমাদের বাড়িতে না আসতেন। তাদের দাওয়াত করা লাগতো না। তারা এমনিতেই এসে হাজির হতেন। সেই বাবার হাতে গড়া সেনা সদস্যরাই মা-বাবার বুকে গুলি চালিয়েছে। আমার মা সেদিন বাঁচতে চাননি। সাহসিকতার সঙ্গে বলেছিলেন আমার স্বামী যেখানে আমি সেখানেই যাবো। এ কথা বলার পর সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাবার উপযুক্ত সঙ্গী হয়েই তিনি চলে গেলেন। বাবার আদর্শটা আমার মা মনে প্রাণে ধারণ করেছিলেন। সেটা ধারণ করেই তার জীবনটাকে তিনি উৎসর্গ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কোনো দিন সংসারের কোনো ব্যাপারে তিনি আব্বাকে চিন্তা করতে না করতেন। সবসময় বলতেন সব আমি সামলাবো। ঠিক সেভাবেই তিনি তার সংসার পরিচালনা করে গেছেন। ফলে আব্বা সম্পূর্ণভাবে একটি দেশের জন্য কাজ করা সুযোগ পেয়েছেন। আমি মনে করি আমাদের দেশের মেয়েদেরও সেই আদর্শ নিয়ে চলা উচিত। ত্যাগের মধ্যে দিয়ে একটি সংসার, প্রতিষ্ঠান ও একটি দেশকে সুন্দর করা যায়। চাওয়া পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া এর চেয়ে বড় কিছু আর হয় না। ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সেই দৃষ্টান্তই রেখে গেছেন।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের দেশকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম। মুজিববর্ষ পালন করছি। বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। এর মধ্যে করোনাভাইরাস এসে আমাদের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করলো। কিন্তু কিছু করার নেই। কারণ বিশ্বব্যাপী এই সমস্যা। যা হোক এখান থেকেও আমরা একদিন অবশ্যই উত্তরণ ঘটাবো। বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়বো। আমি মনে করি দেশ গঠনে আমার মায়ের ত্যাগ সেটাও বৃথা যাবে না।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। বিশেষ করে আত্মত্যাগী, লাঞ্ছিত মা-বোনদের সহযোগিতা করা, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ ব্যক্তিগতভাবে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সান্ত্বনা দেন এবং সামাজিকভাবে তাদের প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন সাধারণ বাঙালি নারীর মতো স্বামী-সংসার, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বাংলাদেশের মহা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে তিনি অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক সাফল্যেও বঙ্গমাতা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। জাতির পিতা রাজনৈতিক কারণে প্রায়শই কারাগারে বন্দি থাকতেন। এই দুঃসহ সময়ে তিনি হিমালয়ের মতো অবিচল থেকে একদিকে স্বামীর কারা মুক্তিসহ আওয়ামী লীগ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। অন্যদিকে সংসার, সন্তানদের লালন-পালন, শিক্ষাদান, বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস জুগিয়ে স্বাধীনতা এবং মুক্তির সংগ্রামকে সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন।
৬ ও ১১ দফার আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গৃহবন্দি থেকে এবং পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা সত্ত্বেও তিনি সীমাহীন ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন।
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- গরমে সতেজ থাকার কৌশল
- কাঁচা আমের আচার তৈরির সহজ রেসিপি
- ২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার
- দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২
- কক্সবাজারে স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত
- ঝালকাঠির দুইটি উপজেলার নির্বাচনে মনোনয়পত্র যাচাই বাছাই
- শিবচরে বালু উত্তোলন করার অপরাধে ড্রেজার, বাল্কহেডসহ ১১জন আটক
- ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম শূন্যের কোটায় আনা হবে
- বরিশালের দুই উপজেলার ২১ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- বরিশালে ২টি নৌযান সহ ৩৯ জেলে আটক
- গৌরনদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৬ হাজার ৮শত টাকা জরিমানা
- আজ দেখা যাবে পিংক মুন, ঢাকায় শক্তিশালী টেলিস্কোপ স্থাপন
- কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে, তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট
- থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
- আগামী দিনে হজ ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী
- ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন
- অভিযোগ পেলে পিডিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, প্রয়োজনে পরিবর্তন
- শ্রম আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র টালবাহানা করছে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- কারা সনদ নিয়েছেন, কারা টাকা নিয়েছেন খুঁজে বের করবো: ডিবিপ্রধান
- জরিপ সম্পর্কে জমির মালিকদের জানাতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি আজ
- চঞ্চলকে নিয়েই শাকিবের ‘তুফান’
- অফশোর ব্যাংকিংয়ে সুদের ওপর কর প্রত্যাহার
- আবহাওয়া ঠান্ডা রাখতে রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটানোর পরামর্শ
- পাট পণ্যের উন্নয়নে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: নানক
- আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের দুজন আটক
- র্যাবের মুখপাত্রের দায়িত্ব নিলেন কমান্ডার আরাফাত
- থর মরুভূমির প্রভাব দেশে, বৃষ্টির বাতাস সরে গেছে চীনে
- ক্যাম্পে রোহিঙ্গা যুবককে কুপিয়ে হত্যা
- মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনেকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচারণা করছেন প্রার্থীরা
- মঠবাড়িয়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- মঠবাড়িয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীর মাঝে ঢেউটিন বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- হোয়াটসঅ্যাপে বিভ্রাটের অভিযোগ ব্যবহারকারীদের
- জিয়াউর রহমানের আমলে নারীদের পতিতাবৃত্তি করতে হয়েছে: কাদের
- লাইলাতুল কদরে কী দোয়া পড়বেন?
- ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা ইউজিসির
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- বাংলাদেশ-ভুটান তিন সমঝোতা স্মারক সই
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন