বসন্তকালে বক্ষব্যাধি
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক, এখন চলছে ঋতুরাজ বসন্তকাল। গ্রীষ্মের দারুণ গরমের আর মাঘের শীতের পর এ সময়টি আবহাওয়ার দিক দিয়ে যতই মধুুর হোক না কেন, কিছু কষ্টদায়ক ব্যাধি এ ঋতুটিকে ঘিরে রাখে। এ সময়টিতে গাছে গাছে ফুলের পরাগ রেণু ছাড়ে বলে বসন্তকালে বাতাসে প্রচুর অ্যালার্জেনের আধিক্য পরিলক্ষিত হয়। বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জেনের মধ্যে অ্যালার্জিজনিত হাঁপানি রোগের মধ্যে ফুলের পরাগ রেণু অন্যতম। সে জন্য এ সময়টিতে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, হে ফিভার এবং হাঁপানির আক্রমণ বৃদ্ধি পায়। বাতাস শুষ্ক থাকে বলে বাতাসে সালফার ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ সালফার ডাই-অক্সাইড পরিবেশ দূষণ ঘটায় বলে এ সময়টিতে বিভিন্ন ধরনের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তারা এসব রোগের হাত থেকে বেঁচে থাকতে হলে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। গ্রামেরদিকে এ ঋতুতে অ্যালার্জিক এলভিওলাইটিস দেখা দেয়। এক জাতীয় ছত্রাকের দ্বারা এ সমস্যা দেখা দেয় এবং খড়কুটা, গরুর ভুসি ব্যবহারের সময় অ্যালার্জেন (এসপারজিলাস ফিউমিগেটাস) শ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে ঢুকে অ্যালার্জিক এলভিওলাইটিস রোগের সৃষ্টি করে। এ রোগেও হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তবে হাঁপানির মতো সাঁই সাঁই শব্দ থাকে না এবং এর চিকিৎসা ব্যবস্থাও হাঁপানি থেকে ভিন্ন প্রকৃতির। আজকাল পরিবেশ দূষণ মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে যাচ্ছে। ফলে শিশুরাও এখন ব্যাপকভাবে শ্বাসকষ্টের শিকারে পরিণত হচ্ছে। চেম্বারে বসলেই প্রতিদিন একটা সাধারণ দৃশ্য চোখে পড়ে। সেটি হলো উদ্বিগ্ন বাবা-মা আর সন্তানকে কোলে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসছেন। শিশু শ্বাসকষ্টে ভুগছে। শিশুর সঙ্গে সঙ্গে বাবা-মায়ের কি নিদারুণ পেরেশানি। তারা বারে বারে একটা কথাই জানতে চান, তাদের সন্তান ভালো হবে তো? বসন্তকালে কিছু ভাইরাস জাতীয় রোগ যেমন- হাম, পানি বসন্ত, ভাইরাস জ্বর প্রভৃতি হতে দেখা যায়। এ জ্বরে ঘরের একজন আক্রান্ত হলে দেখা যায় আস্তে আস্তে অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হওয়া শুরু করে। এমন করে একঘর থেকে অন্য ঘরে, এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি এই চক্রে জড়িয়ে যায়। বসন্তকালে শীতের আবহাওয়ার সময়কার ঘুমন্ত ভাইরাসগুলো একটু গরম পাওয়ায় বাতাসের মাধ্যমে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। পানিবসন্ত এবং হাম ভাইরাসজনিত রোগ। এগুলোকে আমরা সংক্রামক ব্যাধি বলি। কারণ এগুলো খুবই ছোঁয়াচে। পানিবসন্ত তেমন মারাত্মক রোগ নয় যদিও যার কোনোদিন এ রোগ হয়নি তার জন্য ছোঁয়াচে। সেজন্য এ রোগ হলে যার জীবনে এ রোগ হয়নি তাকে রোগীর কাছ থেকে দূরে রাখা উচিত। সরাসরি সংস্পর্শে এবং রোগীর হাঁচি-কাশির মধ্য দিয়ে এ রোগ পরিবেশে ছড়িয়ে যায়। পানিবসন্ত এবং হাম হলে রোগীকে কখনো ঠান্ডা লাগাতে দেবেন না। কারণ এ দুটি রোগেই ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া কিংবা ব্রঙ্কো-নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে। হাম পরবর্তী শিশুর ব্রঙ্কো-নিউমোনিয়া শিশুর জন্য প্রাণঘাতী সমস্যায় পরিণত হতে পারে। এখনো আমাদের দেশে কুসংস্কার রয়ে গেছে যে, পানিবসন্ত এবং হাম হলে তাকে ঠান্ডা খাবার খাওয়াতে হবে। এটা একটা ভয়ঙ্করধর্মী কুসংস্কার। তাই এ ব্যাপারে সবার সচেতনতা থাকা প্রয়োজন। আরেকটি ব্যাপার দেখা যায়, পানিবসন্ত এবং হাম রোগীকে তার আত্মীয়-স্বজন মাছ, গোশত খেতে দেন না। এটাও একটা ভ্রান্ত ধারণা। কারণ এ দুটি রোগেই শরীরে প্রচন্ড আমিষের ঘাটতি হয়, তার ওপর যদি তাকে আমিষ থেকে বঞ্চিত করা হয় তাহলে তার জন্য হয়ে দাঁড়াবে অতিরিক্ত বিপদের ঝুঁঁকি। মনে রাখবেন রোগীকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। রোগীকে মাছ, গোশত, ডিম, দুধ, ফলমূল খেতে দেন। এতে বসন্তের ঘা পাকবে না। ভাইরাস জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে বসন্তকালে কিছু কিছু টাইফয়েড এবং প্যারাটাইফয়েজ হতে দেখা যায়। ভাইরাস হলে সাধারণত একটু যদি কাশি থাকে তার ওপর থাকে শরীর ব্যথা এবং মাথাব্যথা। তাই বসন্তকালীন অনাবিল আনন্দের দিনগুলোতে উচিত আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের সময়টাতে সাবধানে চলা। মনে রাখবেন প্রতিকার নয়, এসব ক্ষেত্রে প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।
অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- মঠবাড়িয়ায় ইমরান গাজী হত্যা মামলায় ৬ আসামি কারাগারে
- মঠবাড়িয়ায় অবৈধ ইট ভাটায় এক লাখ টাকা জরিমানা
- মঠবাড়িয়ায় পুলিশের হাতে পলাতক দুর্ধর্ষ ডাকাত কালাম গ্রেপ্তার
- মঠবাড়িয়ায় অবৈধ করাত কল স্থাপণ করায় ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা
- মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দুই প্রার্থী
- মঠবাড়িয়ায় পূর্নবাসনের লক্ষ্যে জেলেদের মাঝে গরু বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় ৪ টি জাতীয় দিবস পালনের প্রস্তুতি সভা
- মঠবাড়িয়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
- মঠবাড়িয়ায় স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপিত
- মঠবাড়িয়ায় ৯৮০ টি জেলে পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় অবৈধ করাত কল ও ইট ভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা
- দুই সিটি, ছয় পৌরসহ দুই শতাধিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
- চলতি মাসে সম্পন্ন হচ্ছে পিরোজপুরে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের কাজ
- মঠবাড়িয়ায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপিত
- মঠবাড়িয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীর মাঝে ঢেউটিন বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত
- ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
- মঠবাড়িয়ায় পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার- ৫
- মঠবাড়িয়ায় জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালিত
- বাড়িতে গ্যাস লিকেজ হয়েছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে