• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস উদযাপন

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২১  

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। তৎকালীন উপ-হাইকমিশনার এম হোসেন আলী দূতাবাসে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে তুলেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। সেই দিনটিকে স্মরণ করে রোববার কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস’ উদযাপিত হলো।

রোববার দুপুর ১২টা ৪১ মিনিটে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। 

সকালে উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে কলকাতাস্থ উপ-হাইকমিশন ভবনের চারদিক প্রদক্ষিণ করেন। পতাকার চার প্রান্তে ছিলেন চার উইং প্রধান কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম, কাউন্সেলর (কনস্যুলার) মো. বশির উদ্দিন, প্রথম সচিব (প্রেস) ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো. শামছুল আরিফ ও মাঝে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান এবং মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান বি এম জামাল হোসেন পতাকা ধরে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণ ঘুরে পতাকা উত্তোলনের নিয়ম যথাযথভাবে মেনে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে উত্তোলন করা হয়। 

পতাকা উত্তোলন করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। 

পতাকা উত্তোলনের ব্যাপারে তৌফিক হাসান বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস ডে হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনায় দেশের মানুষ এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের স্থান করে নিয়েছে। এক্ষেত্রে বিদেশস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, আমি খুব গর্বিত এই জন্য যে, দেশের বাইরে যে উপ-হাইকমিশনে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল সেখানেই পতাকা উত্তোলনের ৫০ বছর পূর্তিতে আমার এই পতাকা উত্তোলনের সৌভাগ্য হলো। 

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতায় পাকিস্তানের উপ-হাইকমিশনে কর্মরত ৭০ জন বাঙালি কর্মকর্তা-কর্মচারী বাংলাদেশের আনুগত্য ঘোষণা করে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। এ পতাকা উত্তোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন উপ-হাইকমিশন প্রধান এম হোসেন আলী। পতাকা উত্তোলনের পর তাৎক্ষণিকভাবে দূতাবাসে কর্মরত পাঁচজন পাকিস্তানি কর্মকর্তাসহ তাদের অনুগত ১৫ জন কর্মচারী ব্যতীত ৭০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে এম হোসেন আলী মুজিবনগর সরকারের নির্দেশনায় উপ-হাইকমিশন পরিচালনা করেছিলেন। 

১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিলের পতাকা উত্তোলনের এ ঘটনার পর বিশ্ববাসীর দৃষ্টি পড়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর। এ সংবাদটি ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল কলকাতার সব পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয় যা সারাবিশ্বে আলোড়ন তোলে এবং বিশ্বনেতৃবৃন্দের সমীহ আদায় করতে বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে সুবিধা প্রদান করেছিল।