• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:

বিকেএসপিতে নতুন সংযোজন হচ্ছে নারী হকি বিভাগ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২০  

 ফুটবলের পর এবার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন সংযোজন হচ্ছে হকির নারী বিভাগ। বিষয়টি হকি অঙ্গনের জন্য নতুন এক অগ্রযাত্রা বলে মনে করেন হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সাজেদ এ এ আদেল। বিকেএসপির নিবিড় পরিচর্যায় নিজেদের তৈরি করে ভবিষ্যতে জাতীয় দলের পাইপ লাইনকে সমৃদ্ধ করবে কিশোরীরা। বিশ্বাস ফেডারেশনের এই কর্তার।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠান থেকে উঠে এসে বিশ্ব ক্রিকেট মাতাচ্ছেন সাকিল আল হাসান মুশফিকুর রহিমদের মতো ক্রিকেটাররা। শুধু ক্রিকেট নয়, সব খেলাতেই আছে খেলোয়াড় তৈরির কারখানার ছাত্রছাত্রীদের প্রাধান্য।

সেই ১৯৮৬ সালে ফুটবল ও ক্রিকেট- এ দুটি ডিসিপ্লিনের ৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পর্যায়ক্রমে ডিসিপ্লিন সম্প্রসারণ হতে হতে এখন হয়েছে ১৭টি। এরমধ্যে কয়েক বছর আগেই ফুটবলের নারী বিভাগ চালু হয়।

এবার বিকেএসপিতে নতুন সংযোজন হচ্ছে হকির নারী বিভাগ। দেশের ৮ বিভাগে প্রতিভা অন্বেষণের মাধ্যমে ৪৫ জনকে বাছাই করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রধান ক্যাম্পাসে তাদেরকে এক সপ্তাহ যাচাই বাছাই করা হয়। সেখান থেকে ১৫ জন নারী হকি খেলোয়াড়কে ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হয়। বিষয়টি হকি অঙ্গনের জন্য নতুন এক অগ্রযাত্রা বলে মনে করেন হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সাজেদ এ এ আদেল।

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সাজেদ এ এ আদেল জানান, সব সময় কিন্তু আমাদের নারী হকি পিছিয়ে আছে, আমি করি এর মাধ্যমে বাংলাদেশে হকির একটা অগ্রযাত্রা হলো। ২০১৯ এর সেপ্টেম্বরে সিঙ্গাপুর গিয়েছিল এবং সেখানে তাদের যে পারফর্মন্সে ছিলো খারাপ ছিলো না। বিকেএসপি যে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এখানে প্রতিষ্ঠানটি যে ভূমিকা নিয়েছে তাতে তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।

স্কুল ও বিভাগীয় পর্যায় থেকে এর আগে নারী হকি খেলোয়াড়দের তুলে আনে ফেডারেশন। যদিও আন্তর্জাতিক পরিসরে নারীদের পারফরম্যান্স তেমন উল্লেখযোগ্য ছিলো না। তারপরও নিজেদের তৈরি করে ভবিষ্যতে জাতীয় দলের পাইপ লাইনকে সমৃদ্ধ করবে বিকেএসপির কিশোরীরা। বিশ্বাস ফেডারেশনের এই কর্তার।

সাজেদ এ এ আদেল জানান, গত স্কুল হকিতে আমরা ৫০-৬০ জনকে বাছাই করে রেখেছি। এই করোনা কালটা শেষ হলেই তাদেরকে নিয়ে আমরা ক্যাম্প করবো। আমি আশা করি ভকিতে আমাদের পাইপলাইনে যথেষ্ট খেলোয়াড় থাকবে।

দেশের খেলাধুলার সবচেয়ে বড় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উঠে এসে হকিতে দীর্ঘ সময় পতাকা বহন করেন মামুনুর রশীদ, রাসেল মাহমুদরা। তাইতো অগ্রজদের অনুসরণ করে নারী খেলোয়াড়রাও দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনবে। এমনটাই প্রত্যাশা সবার।