• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য বাড়াতে জি টু জি বৈঠক জানুয়ারিতে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২০  

ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে আগামী বছরের জানুয়ারিতে জি টু জি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রিটেনের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ব্রেক্সিট পররর্তী বাণিজ্য ও বিনিয়োগে ব্রিটেনের আগ্রহে বাংলাদেশ উৎসাহবোধ করছে। নতুন উদ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সঠিক পথে পরিচালনার জন্য উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা জরুরি। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেই দু’দেশের মধ্যে (জি টু জি) বাণিজ্য বৈঠকের আয়োজন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রিটেনের অনেক বিনিয়োগ বাংলাদেশে রয়েছে। আরও বিনিয়োগ ও বাণিজ্যকে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। চীন, জাপান, কোরিয়া ও ভারতসহ বেশ কিছু দেশ সেখানে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে। ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এ সময় ব্রিটেন বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পিটিএ এবং এফটিএ করে বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ প্রচেষ্টা শুরু করেছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্রিটেন সহযোগিতা করছে সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্রিটেন বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৈঠক করে এ বিষয়ে বিস্তারিত কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব। বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রিটেনের চলমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত থাকবে। আগামীতে তা আরও বাড়ানোর প্রচেষ্টা থাকবে।

ব্রিটেন বাংলাদেশের রফতানির জন্য একটি বড় বাজার। গত অর্থবছর বাংলাদেশ ব্রিটেনে রফতানি করেছে ৩ হাজার ৪৫৩ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। একই সময় আমদানি করেছে ৪১০ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। দু’দেশের মধ্যে এ বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে।