• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ভান্ডারিয়ায় বিশ্ব হাতধোয়া উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০১৯  


  প্রতিবছরের জন্য ন্যায়  জাতীয়  স্যানিটেশ মাস অক্টোবর ও   বিশ্ব  হাতধোয়া দিবস উপলক্ষে  উপজেলা  প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য   প্রকৌশল  অধিদপ্তরের  যৌথ  উদ্যেগে তেলিখালী ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালী শেষে  উপজেলা   জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী  আঃ সত্তার খান লিটন এর সভাপাপতিত্বে  আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুল আলম, তেলিখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সামসুদ্দিন হাওলাদার,  ৩০নং জুনিয়া বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমৃত লাল গাইন, সুকদেব কুমার মন্ডল, ৩৩নং দক্ষিণ জুনিয়া কাজিরকান্দা সরকারি প্রাথমিক  বিদ্যালয় শিক্ষক  ফাতিমা আক্তার, ফারজানা আক্তার, মিজানুর রহমান প্রমুখ।  ও স্যানিটেশনের বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে  ৪০টি  হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে বিনা মুল্যে রিং স্লাব  ও রেইন ওয়াটার হারভেস্টার অর্থাৎ বৃস্টির পারি সংরক্ষের জন্য ৩০০ লিটারের পানির ট্যাঙ্কি বিতরণ করা হয়। 
উপজেলা নির্বাহী  অফিসার মোঃ নাজমুল আলম বলেন গবেষণায় দেখা গেছে যে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া উভয় প্রবনতা কমাতে পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়া একটি ব্যয়-স্বাশ্রয়ী উদ্যোগ। কিছু নির্দিষ্ট সময়, বিশেষ করে খাবার গ্রহণের পূর্বে বা খাবার প্রস্তুতের পূর্বে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে দুই হাত ধোয়ার মাধ্যমে ডায়রিয়ার হার প্রায় ৪০ শতাংশের বেশি ও তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রায় ২৩ শতাংশ কমানো সম্ভব।
সুস্বাস্থ্য ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জনসাধারনের মধ্যে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার গুরুত্ব তুলে ধরা ও প্রচারের উদ্দেশ্যে সারা বিশ্বে একযোগে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালন করা হয়। ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘সকলের হাত পরিচ্ছন্ন থাক’এটি টেকসই উন্নয়ন কাউকে বাদ দিয়ে নয় তা অনুসরন করে। হাত ধোয়ার সুবিধায় অসমতা ও কার্যকর প্রচার প্রোগ্রামের অভাবে আমরা বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকিতে পড়ছি যা আমাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে প্রভাতিব করতে পারে।
অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেক্টরে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেশ অগ্রগতি সাধন করেছে। এজন্য দরকার সবার জন্য হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত সুবিধা অর্থাৎ  সাবান ও পানি, যাতে করে এ পর্যন্ত যেসব অর্জন সম্ভব হয়েছে তা ধরে রাখা এবং হাত ধোয়ার অভ্যাসের বর্তমান অবস্থার আরো উন্নতি সাধন করা। এর মধ্যে রয়েছে ভৌগলিক অবস্থান, আর্থসামাজিক অবস্থা, পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী যেমন বৃদ্ধ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, প্রান্তিক জনগোষ্টি যেমন আদিবাসী এবং বাস্তুচ্যুত জনগোষ্টি এবং স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরিবারের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্র অন্তভর্’ক্ত।