• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ভার্চুয়াল হাইকোর্ট থেকেও জামিন পেলেন না ডেসটিনির এমডি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২০  

হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ ডেসটিনি গ্রুপের কারাবন্দি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনকে জামিন দেননি। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রফিকুল আমীনের আইনজীবীকে নিয়মিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন। মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুদকের করা দুটি মামলায় জামিন আবেদন করেছিলেন রফিকুল আমীন।

আদালতে রফিকুল আমীনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু এমপি ও উজ্জল ভৌমিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক।

মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুদক। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ (এমএলএম) ও ট্রি-প্ল্যানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৩ হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা এবং এগারো শ’ ৭৮ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ২শ ৪ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা দু’টি করা হয়। ২০১৪ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। 

এ মামলায় ২০১৬ সালের ২০ জুলাই রফিকুল আমীনকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে দুদকের আবেদনে তা স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগ। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানির একপর্যায়ে তাদের লাগানো ৩৫ লাখ গাছের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাছ বিক্রি করে দুই হাজার ৮শ কোটি টাকা দিবেন এমন শর্তে আপিল বিভাগ তাকে জামিন দেন। গাছ বিক্রি করতে না পারলে নগদ দুই হাজার ৫শ কোটি টাকা দিতে বলা হয়। এ শর্ত সংশোধন চেয়ে ২০১৭ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রফিকুল আমীন। সে সময় শুনানিতে ডেসটিনির আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘গাছ ছাগলে খেয়ে ফেলেছে।’ এরপর ওই জামিন আবেদন ওই বছরের ৩০ নভেম্বর খারিজ হয়ে যায়। ফলে তাদের আর মুক্তি হয়নি।

পরবর্তীতে গতবছর আবারো জামিন চেয়ে আবেদন করা হয় আপিল বিভাগে। গতবছর ১৭ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় হাইকোর্টে ওই মামলায় জামিন চাওয়া হয়েছিল।