• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ভিনদেশী সবজি চাষে কৃষকদের ভাগ্য বদল

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০১৯  

ভোলা সদর উপজেলার দুর্গম মাঝের চরে কৃষকরা ক্যাপসিকাম চাষ করে বদলে ফেলেছেন নিজেদের ভাগ্য। তারা  শুধু নিজেদের ভাগ্যই বদল করেন নি বদলে দিয়েছেন ওই এলাকার চিত্র। ঝুঁকি নিয়ে ভিনদেশী এ সবজি আবাদ করে শুধু নিজেরাই সাবলম্বি হন নি পাশাপাশি পথ দেখাচ্ছেন অন্যদেরও। তাদরে দেখাদেখি ওই চরে এখন অর্ধশতাধিক কৃষক ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেছেন। বিদেশি এই সবজি হাসি ফুটিয়েছে তাদের মুখেও।

ভোলা সদর উপজেলার বিচ্ছিন্ন মাঝের চরে প্রতিবছরই বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হয়। কিন্তু ভাল দাম পাওয়া নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ থাকে কৃষকদের।  আন্তরিকতা থাকলেও চাষের সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা ছিল না তাদের। একের পর এক আধুনিক প্রদ্ধতি ও নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা ভিনদেশী এ সবজি চাষে মনযোগী হন। দেশের বাইরে থেকে ক্যাপসিক্যামের বীজ সংগ্রহ করে সফলতা অর্জনের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামেন তারা। কঠোর পরিশ্রম ও সঠিক নিয়মে পরিচর্যার ফলে অল্পদিনেই ফলন শুরু হয়। ৫ গন্ডা জমিতে ৬০ হাজার টাকার বীজ বপন করে ।  

সে বছর তারা প্রত্যেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেন। পরবর্তীতে এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির জমি লীজ নিয়ে চাষের পরিসর বৃদ্ধি করতে থাকেন। এরপর থেকে তাদের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এ মৌসুমে পর্যায়ক্রমে তারা পাঁচ একর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। গত বছরের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে চাষ শুরু করেন। আবহাওয়ার পরিবেশ অনুকূলে থাকলে আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত কৃষকরা প্রত্যেকে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার করে ক্যাপসিকাম বিক্রি করতে পারবেন।

কৃষকদের মধ্যে তছির ব্যাপারী বলেন তার এই সাফল্য দেখে ওই চরে এখন অর্ধশতাধিক কৃষক ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেছেন। সংসারের অভাব দুর করে তারাও ফিরে পেয়েছেন আর্থিক স্বচ্ছলতা। এতে একদিকে, যেমন বেকারত্ব দূর হয়েছে অন্যদিকে, আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তারা। তাই ভিনদেশি এই সবজি চাষে ঝুঁকছেন ভোলার চাষিরা।

মেঘনা বিধৌত মাঝের চরের মাটি অত্যন্ত উর্বর, তাই দুই-তিন বছর ধরে কৃষকরা ক্যাপসিকাম চাষ করে ভালো ফল পাচ্ছেন। তছির বেপারী দেখাদেখি অনেকেই ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেছেন।
এবছর জেলায় ২০ একর জমিতে এর আবাদ হয়েছে। কৃষি উপ-সহকারি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে দিন দিন আবাদ বাড়ছে বলে জানালেন কৃষি কর্মকর্তা।