‘ভুল ভাঙাতে’ নিজেই সাপের কামড় খেলেন আদনান!
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০১৯
সাপ ভীতি’ আমাদের বহু পুরনো। আর এই সার্বজনীন ভীতির ফলেই প্রকৃতিতে সাপদের প্রাণ হারাতে হচ্ছে খুবই নির্মমভাবে। অথচ সাপ প্রকৃতির একটি অত্যন্ত উপকারী প্রাণী।
আমাদের দেশে যত প্রকারের সাপ রয়েছে তার মধ্যে ৯৫ শতাংশ সাপ নির্বিষ। অর্থাৎ, বিষ নেই। অবশিষ্ট মাত্র ৫ শতাংশ সাপ বিষধর। তবে তারা সচরাচর ব্যাপকভাবে মানুষের ক্ষতি করে না।
‘সাপ মানেই বিষাক্ত, তাদের দেখামাত্রই মেরে ফলতেই হবে’- সাধারণ জনগণের এই ভুল বা ভ্রান্ত ধারণাটি শুদ্ধ বা সঠিক ধারণায় রূপান্তরিত করতে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছেন বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী আদনান আজাদ আসিফ।
সাপ ধরে উপস্থিত মানুষের মধ্যে সেই সাপটি সম্পর্কে নানা ধারণা দিয়ে তারপর পুনরায় সাপটিকে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেন তিনি। সাপ সম্পর্কে মানুষের মারাত্মক ভয়-ভীতি দূর করতে কখনো কখনো নিজেকেও সাপের কামড় বা ছোবল সহ্য করতে হয়েছে তাকে। শেষাবধি উপস্থিত জনগণকে তিনি বোঝাতে পেরেছেন- ‘ভাইরা, দেখলেন তো! এই সাপের ছোবল বা কামড় খেয়েও মরিনি আমি। আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। সুতরাং, সাপকে কখনো মারবেন না। সাপ আমাদের প্রকৃতির বড় উপকারী প্রাণী। তাদের বাঁচতে সাহায্য করুন।’
ঘটনাচক্রের শেষাংশে এমন কথাগুলো বলে উপস্থিত জনগণের মধ্যে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ’ পৌঁছে দেন তিনি। এই ম্যাসেজটি সংক্রমিত হয়ে ২০ জন থেকে বর্ধিত হয়ে ৪০ জনে কিংবা তারও ক্রমবর্ধিষ্ণু হয়ে দারুণ চাঞ্চল্যে পৌঁছে থাকে এক প্রান্তর থেকে অপর প্রান্তরে।সাপ হাতে আদনান।এ ঘটনা প্রসঙ্গে আদনান আজাদ আসিফ বলেন, আমি গবেষণা কাজের জন্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে রয়েছি। রোববার (১৪ জুলাই) আমাকে সকাল ৬টার সময় আমাকে আমার এক স্টাফ এসে বলে, গাছে সাপ দেখা যাচ্ছে। গাছে সাপ! বিষয়টি শুনেই বিছানা থেকে উঠে আমার বিছানার পাশে রাখা ‘স্নেইক হুক’ (সাপ ধরার শিক) নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলের দিকে যাই। ধারণা করি- গাছের সাপ মানেই ভালো প্রজাতির সাপ হবে।
তিনি আরো বলেন, আম গাছে থাকা সেই সাপটির আমি তখন শুধু পেটের অংশ দেখতে পাচ্ছিলাম। দেখি লোকজন জড়ো হয়ে বাঁশ-লাঠি নিয়ে সাপটিকে মেরে ফেলার জন্য একদম প্রস্তুত। আমি তাদের বলি- এ সাপটিকে কিছুতেই মারা যাবে না। পরে সেই সাপটি তখন এক গাছ থেকে অন্য গাছে চলাফেলা করতে শুরু করে। এভাবে তিন-চার ঘণ্টা কাটে। দুপুরের দিকে সাপটি গাছ থেকে নিচে নামার চেষ্টা করলেই তাকে কৌশলে ধরে ফেলি। সাপটি ধরার খবর শুনে সেই মানুষগুলো আবারো জড়ো হতে থাকে। উপস্থিত প্রায় অর্ধশত মানুষের সামনে সাপ সম্পর্কে মানুষদের সচেতন করার চেষ্টা করি।
সাপটির কামড় সম্পর্কে আদনান বলেন, সাপটিকে প্রকৃতিতে নিয়ে ছাড়তে গেলেই সে উল্টে এসে কামড় বাসায় আমার আঙুলে। আমি সঙ্গে সাঙ্গে হাত ঝাড়া দেই। সাপটি মাটিতে পড়ে যায়। তারপর লোক ধেয়ে আসে সাপটিকে মেরে ফেলার জন্য। তখন আমি সাপটিকে আড়াল করে রাখি তাকে বাঁচাবার জন্য। সে আবারও আমাকে কামড় বসায় এবং চলে যায়। তারপর উপস্থিত লোকজনকে বোঝাতে সক্ষম হই যে, ভয় পেয়ে সাপ আমাকে কাটলেও আমি দিব্বি বেঁচে আসি। সুতরাং, সাপ মারবেন না।
বন্যপ্রাণী গবেষক আদনান আজাদ আসিফ বলেন, এ বিরল প্রজাতির সাপটির বাংলা নাম ‘জলপাইরঙা দাঁড়াশ’। এর ইংরেজি নাম Indo-chinese Rat Snake বৈজ্ঞানিক নাম Ptyas korros। এরা নির্বিষ ও খুবই দ্রুতগতির সাপ। গাছেই থাকতে পছন্দ করে। প্রজনন মৌসুমে ৪-১২টি ডিম দেয়। পাখি, গিরগিটি, ইঁদুর, ব্যাঙ খায়। সিলেটের বনাঞ্চল, বান্দরবান ও সুন্দরবনে কদাচিৎ দেখা যায়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্যপ্রাণি বিভাগের অধ্যাপক এবং বন্যপ্রাণী বিশারদ ও লেখক ড. মনিরুল এইচ খান বলেন, সব ধরনের সাপের প্রতি মানুষের প্রচণ্ড ভীতি রয়েছে। অথচ শতকরা ৯৫ শতাংশ সাপের কিন্তু কোনো প্রকার বিষ নেই। জনসাধারণের এই ভ্রান্ত-ভীতি দূর করতে পারলেই আমাদের প্রকৃতিতে সাপ বেঁচে থাকার সুযোগ পাবে এবং প্রতিবেশ ব্যবস্থায় সুশৃংখলা ফিরে আসবে।
‘সব সাপই কিন্তু আমাদের প্রকৃতির উপকার করে। বিষধর গোখরা বা কেউটে সাপ কিন্তু মানুষের বসতবাড়ির আশপাশেই থাকে। এদের প্রধান খাবার ইঁদুর। তাই তারা আমাদের বসতভিটার কাছাকাছি থাকে। তারা প্রচণ্ড ভয় বা আঘাত না পেলে কিন্তু কখনো ছোবল দেয় না।’
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- গরমে সতেজ থাকার কৌশল
- কাঁচা আমের আচার তৈরির সহজ রেসিপি
- ২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার
- দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২
- কক্সবাজারে স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত
- ঝালকাঠির দুইটি উপজেলার নির্বাচনে মনোনয়পত্র যাচাই বাছাই
- শিবচরে বালু উত্তোলন করার অপরাধে ড্রেজার, বাল্কহেডসহ ১১জন আটক
- ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম শূন্যের কোটায় আনা হবে
- বরিশালের দুই উপজেলার ২১ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- বরিশালে ২টি নৌযান সহ ৩৯ জেলে আটক
- গৌরনদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৬ হাজার ৮শত টাকা জরিমানা
- আজ দেখা যাবে পিংক মুন, ঢাকায় শক্তিশালী টেলিস্কোপ স্থাপন
- কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে, তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট
- থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
- আগামী দিনে হজ ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী
- ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন
- অভিযোগ পেলে পিডিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, প্রয়োজনে পরিবর্তন
- শ্রম আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র টালবাহানা করছে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- কারা সনদ নিয়েছেন, কারা টাকা নিয়েছেন খুঁজে বের করবো: ডিবিপ্রধান
- জরিপ সম্পর্কে জমির মালিকদের জানাতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি আজ
- চঞ্চলকে নিয়েই শাকিবের ‘তুফান’
- অফশোর ব্যাংকিংয়ে সুদের ওপর কর প্রত্যাহার
- আবহাওয়া ঠান্ডা রাখতে রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটানোর পরামর্শ
- পাট পণ্যের উন্নয়নে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: নানক
- আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের দুজন আটক
- র্যাবের মুখপাত্রের দায়িত্ব নিলেন কমান্ডার আরাফাত
- থর মরুভূমির প্রভাব দেশে, বৃষ্টির বাতাস সরে গেছে চীনে
- ক্যাম্পে রোহিঙ্গা যুবককে কুপিয়ে হত্যা
- মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনেকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচারণা করছেন প্রার্থীরা
- মঠবাড়িয়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- মঠবাড়িয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীর মাঝে ঢেউটিন বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- হোয়াটসঅ্যাপে বিভ্রাটের অভিযোগ ব্যবহারকারীদের
- জিয়াউর রহমানের আমলে নারীদের পতিতাবৃত্তি করতে হয়েছে: কাদের
- লাইলাতুল কদরে কী দোয়া পড়বেন?
- ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা ইউজিসির
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- বাংলাদেশ-ভুটান তিন সমঝোতা স্মারক সই
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন