• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় পিয়াজ উৎপাদনে চাষীদের আগ্রহ বাড়ছে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ গত কয়েক বছর ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পিয়াজ নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের তেলেসমাতিতে মূল্য আকাশচূম্বি হওয়ায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার চাষীদের মধ্যে পিয়াজ আবাদের আগ্রহ বেড়েছে। প্রশিক্ষণ পেলে উপজেলায় পিয়াজের বাম্পার ফলন সম্ভব বলে চাষীরা জানান।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, কৃষি ক্যালেল্ডার অনুযায়ী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পিয়াজ আবাদের সময়। এ সময়ের মধ্যে উপজেলায় ২ হেক্টর জমিতে পিয়াজ আবাদ হয়েছে। তবে আমন ধান কাটতে দেরী হওয়ায় অধিকাংশ চাষী ১৫ আক্টোবরের পরে পিয়াজ আবাদ করেছে। উভয় সময়ে উপজেলায় মোট ১৫ হেক্টর জমিতে পিয়াজ আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশী আবাদ হয়েছে ধানীসাফা, আমড়াগাছিয়া, টিকিকাটা ও মিরুখালী ইউনিয়নে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার মন।

পিয়াজ চাষে চাষীদের উদ্ভুদ্ধ করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ২৫ জন চাষীকে ২৫ কেজি পিয়াজের বীজ (বিচি) দেয়া হয়েছে। তবে প্রশিক্ষণের অভাবে চাষীরা বীজ দিয়ে সঠিকভাবে চাষ করতে পারেনি। তাই চাষীদের বীজ পিয়াজ কিনে আবাদ করতে হয়েছে।

উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের আছাদুল ও সাইদুল জানান, তারা ৩০ শতাংশ করে জমিতে পিয়াজ আবাদ করে ভাল ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। উত্তর মিরুখালী গ্রামের চাষী আফজাল জমাদ্দার (৫৮) জানান, ট্রেনিং না থাকায় কৃষি অফিস থেকে দেয়া বীজ দিয়ে সুবিধা করতে পারেননি। পরে বীজ পিয়াজ কিনে ১৫ শতাংশ জমিতে পিয়াজ আবাদে তার প্রায় আট হাজার টাকা ব্যায় হয়েছে। পিয়াজ বিক্রি করে আসল টাকার পর লাভের মুখ দেখবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, পিয়াজ চাষীদের উদ্ভুদ্ধ করার জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে চাষীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। চাষীদের মধ্যে পিয়াজ চাষে ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন জানান, পিয়াজ আবাদের মৌসুম ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। আমন ধান দেরীতে আসায় পিয়াজে আবাদে দেরী হয়। আমন ধান আবাদের সময় এগিয়ে এনে সময় মত পিয়াজ আবাদ করলে বাম্পার ফলন সম্ভব বলে তিনি জানান।