• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় পিয়াজ চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা॥ বাম্পার ফলন

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২১  

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : গত কয়েক বছর ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য পিয়াজ নিয়ে কতিপয় অসাধু ব্যাবসায়িদের কারসাজিতে মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। মূল্য বৃদ্ধির কারনে উপজেলার চাষীদের মধ্যে পিয়াজ আবাদের ব্যপাক আগ্রহ বেড়েছে। চাষীরা প্রশিক্ষণ পেলে অন্যান্য কৃষির পাশাপাশি পিয়াজ চাষে কৃষকরা আরও আগ্রহী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, চলতি বছরে উপজেলায় ২ হেক্টর জমিতে পিয়াজ আবাদ হয়েছে। তবে আমন ধান কাটতে দেরী হওয়ায় অধিকাংশ চাষী ১৫ আক্টোবরের পরে পিয়াজ আবাদ করেছে। উভয় সময়ে উপজেলায় মোট ১৫ হেক্টর জমিতে পিয়াজ আবাদ হয়েছে। পিয়াজ চাষে চাষীদের উদ্ভুদ্ধ করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ২৫ জন চাষীকে ২৫ কেজি পিয়াজের বীজ  দেয়া হয়েছে। তবে প্রশিক্ষণের অভাবে চাষীরা বীজ দিয়ে সঠিকভাবে চাষ করতে পারেনি। তাই চাষীদের বীজ পিয়াজ কিনে আবাদ করতে হয়েছে।

সবচেয়ে বেশী আবাদ হয়েছে উপজেলার ধানীসাফা, আমড়াগাছিয়া, টিকিকাটা, সাপলেজা ও মিরুখালী ইউনিয়নে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার মন। আবাদে বিলম্ব হওয়ায় এখনও মাঠের সব পিয়াজ তোলা হয়নি।

উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের কৃষক আছাদুল ও সাইদুল জানান, তারা ৩০ শতাংশ করে জমিতে পিয়াজ আবাদ করে ভাল ফলন পেয়েছেন। উত্তর মিরুখালী গ্রামের চাষী আফজাল জমাদ্দার (৫৮) জানান, ট্রেনিং না থাকায় কৃষি অফিস থেকে দেয়া বীজ দিয়ে সুবিধা করতে পারেননি। পরে বীজ পিয়াজ কিনে ১৫ শতাংশ জমিতে পিয়াজ আবাদে তার প্রায় আট হাজার টাকা ব্যায় হয়েছে।

উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, পিয়াজ চাষীদের উদ্ভুদ্ধ করার জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে চাষীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। চাষীদের মধ্যে পিয়াজ চাষে ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন জনান, মঠবাড়িয়া পিয়াজ চাষে একটি সম্ভাবনাময় এলাকা। পিয়াজ চাষের অনুকুল সময়ে চাষিদের বীজ ও সার সহায়তা দিতে পারলে পিয়াজের বাম্পার ফলন সম্ভব বলে তিনি জানান।