• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

মসজিদ হোক দাওয়াতের কেন্দ্র

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২০  

 

মসজিদ সর্বোৎকৃষ্ট জায়গা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 

أَحَبُّ الْبِلاَدِ إِلَى اللَّهِ مَسَاجِدُهَا وَأَبْغَضُ الْبِلاَدِ إِلَى اللَّهِ أَسْوَاقُهَا
‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হলো মসজিদ, আর সবচেয়ে অপ্রিয় জায়গা বাজার।’ [মুসলিম, আসসাহিহ : ৬৭১]

মসজিদের প্রতি মানুষের সহজাত একপ্রকার আবেগ কাজ করে। এখানে মানুষ বিনম্র হয়। আল্লাহর দিকে ধাবিত হয়। আর তাই মসজিদ হতে পারে আমাদের জন্য দাওয়াতের বড় একটা ক্ষেত্র। একটা মানুষ মসজিদে আসা মানে এমনিতেই আপনার দাওয়াতের কাজ কয়েক গুণ এগিয়ে যাওয়া। এখন তাকে একটু দিকনির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন কেবল।

এ জন্য মসজিদের ইমাম ও খতিব সাহেবদের সাথে সুসম্পর্ক রাখা, মাঝে মাঝেই বাসায় দাওয়াত করা, টুপি, আতর, মিসওয়াক, পাগড়ি, রুমাল ইত্যাদি হাদিয়া দেয়া, তাদের কাছে বিভিন্ন বিষয় জানতে চাওয়া, শিখতে চাওয়া। এভাবে গভীর সম্পর্ক গড়ে তারপর ধীরে ধীরে উম্মাহর পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করা। হকপন্থী আলেমদের লিখনী ও বয়ানের সাথে তাদেরকে পরিচিত করানো ইত্যাদি। মনে রাখবেন, একজন ইমাম আপনার দাওয়াহ গ্রহণ করা মানে, পুরো সমাজে আপনার দাওয়াহ অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া। 

মসজিদে ইমাম বা খতিব সাহেবের অনুমোদনক্রমে বিভিন্ন দাওয়াতি লিফলেট, ছোট ছোট বই, ম্যাগাজিন বা সমকালীন কোনো ইস্যু নিয়ে লেখা গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রবন্ধ প্রিন্ট করে বিতরণ করা। এছাড়াও মসজিদে কুরআন, হাদিস, আকাইদ, ফিকহসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর দারসের আয়োজন করা যেতে পারে। প্রতি জুময়ার খুতবা প্রিন্ট করে বিতরণ করা যেতে পারে। 

মসজিদভিত্তিক পাঠাগার গড়ে তোলা প্রয়োজন। যেখানে কুরআন, হাদিস, আকাইদ, ফিকহ, ইতিহাসসহ সমকালীন গুরুত্বপূর্ণ বই-পুস্তক থাকবে। সদস্যরা খাতায় এন্ট্রি করে বই নিয়ে পড়বে। পড়া শেষে জমা দেবে। আবার পাঠাগারের উদ্যোগে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে পাঠ-প্রতিযোগিতার আয়োজন হতে পারে। বিভিন্ন সময় পাঠ-সপ্তাহ পালন করা যেতে পারে। শ্রেষ্ঠ পাঠক পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকতে পারে। রবিউল আওয়াল মাস উপলক্ষে নবিজির সিরাত, রজব মাস উপলক্ষে মিরাজ, রমজান মাসে কুরআন পাঠ ও অধ্যয়নের আয়োজন করা যেতে পারে। বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতাও আয়োজন করা যায়। 

মসজিদ কমিটিতে অংশগ্রহণ এবং বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করা। কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন সমাজ-কল্যাণমূলক কর্মকান্ডে মুসল্লিদের নিয়ে অংশগ্রহণ করা। সমাজ পরিবর্তনমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া। এভাবে একটা মসজিদ হয়ে ওঠতে পারে আপনার দাওয়াতের মারকাজ তথা কেন্দ্রবিন্দু। নববিযুগে মুসলিমদের গোটা সমাজই ছিল মসজিদকেন্দ্রিক। আজও সমাজকে মসজিদমুখী করা গেলে সমাজে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করা সম্ভব।