• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

মসজিদের মাইকে ঘরে নামাজ পড়ার আহ্বান

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২০  

মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়তে সরকারের নির্দেশের পর দেশের মসজিদগুলোর মাইকেও একই আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে ধর্ম মন্ত্রণালয় জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারির করার পর বিকাল থেকে মসজিদের মাইকে মুসল্লিদের মসজিদে না এসে বাসায় নামাজ পড়তে বলা হয়। কোনও কোনও স্থানে মুসল্লিরা মসজিদে গেলেও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, মুসল্লিদের বাসায় নামাজ পড়ার সরকারের সিদ্ধান্তের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মসজিদে মসজিদে গিয়ে ইমাম, খতিব ও মসজিদ কমিটির সদস্যদের এ নির্দেশনার কথা জানিয়ে এসেছেন। সোমবার আসরের নামাজের আজানের আগে এবং আজানের পরও মসজিদগুলোর মাইকে বলা হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিয়েছে মুসল্লিরা বাসায় নামাজ পড়বেন, মসজিদে আসবেন না। সবাই প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না।
আরব দেশগুলোর মসজিদে মুসল্লিদের নামাজ বন্ধ ঘোষণার পর আজানে ‘হাইয়্যা আলাস-সালাহ’ পরিবর্তন করে ‘আস-সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’ বলা হয়েছিল, যার অর্থ ‘আপনারা ঘরেই নামাজ আদায় করে নিন’। তবে বাংলাদেশের কোনও মসজিদে আজানে ‘হাইয়্যা আলাস-সালাহ’ পরিবর্তন করে ‘আস-সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’ বলতে শোনা যায়নি।


রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে জানিয়েছেন, পল্টন, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, কাজীপাড়াসহ অন্যান্য স্থানের মসজিদের মাইকে মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়তে আহ্বান করা হয়েছে। মাগরিবের নামাজের আগেও একই আহ্বান করা হয়েছে।

তবে কোনও কোনও স্থানে মুসল্লিরা মসজিদে গেলেও তাদের ফিরেয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর মিরপুর ১ পাইকপাড়া শাহ শাহেব নগর মসজিদের গেটে গিয়ে তালা দেখে মুসল্লিদের ফিরে আসতে দেখা গেছে।
এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদে সরকারের নির্দেশ প্রতিফলন হয়নি বলে জানা গেছে। সেখানে থাকা  প্রতিবেদক জানান, আসরের নামাজের সময় মসজিদের ভেতরে ভর্তির পর বাইরেও এক কাতারে মুসল্লিদের দেখা গেছে। নামাজ শুরুর পরও মানুষ দৌড়ে এসে মসজিদে জামাতে অংশ নিয়েছেন।


প্রসঙ্গত, সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুধু মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমরা মসজিদে নামাজ আদায় করবেন। একইসঙ্গে সব মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাধারণের প্রার্থনা না করার নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সব ধর্মের মূলনীতির আলোকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এ নির্দেশনা জারি করা হলো এবং এ নির্দেশনা অমান্য করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।