• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

মহাকাশে হারিয়ে যাচ্ছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২০  

ইন্টারনেট জগৎ দখলের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলেন ইলন মাস্ক। পৃথিবীর ৯৯ শতাংশ অঞ্চলে হাইস্পিড ইন্টারনেট সরবরাহের জন্য তার পদক্ষেপ স্টারলিংকের কথা অনেকেরই জানা।কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণার ফলাফলে নড়েচড়ে বসেছেন বিশেষজ্ঞরা। স্টারলিংকের অন্তত তিন শতাংশ স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে! এর ফলে মহাকাশযান ও নভোচারীরা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।

হার্ভার্ড স্মিথসোনিয়ান সেন্টার অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের নভোচারি জনাথন ম্যাকডুয়েলের সংগ্রহ করা উপাত্তে বিষয়টি উঠে এসেছে। উপাত্ত অনুযায়ী অন্তত তিন শতাংশ স্যাটেলাইটের উপর স্পেস এক্সের নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি স্পেসএক্স।

স্পেসএক্স-এর দাবি স্টারলিঙ্ক প্রকল্পের প্রতিটি স্যাটেলাইট কক্ষপথ থেকে সরিয়ে নিয়ে পৃথিবী অভিমুখে পতিত করা যায়। যার ফলে মহাকাশে কোনো বর্জ্যের সৃষ্টি হয় না। তারা আরও দাবি করেন, কোনো স্যাটেলাইট কক্ষপথ থেকে সরে গেলেও সেটির অন্য স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংঘর্ষের সম্ভাবনা প্রতি ১০ বছরে এক শতাংশেরও কম।

ব্যর্থতার হিসেবে এই হার ছোট হলেও মহাকাশে ঘুরে বেড়ানো এসব স্যাটেলাইট অন্যান্য স্যাটেলাইটের সঙ্গে দুর্ঘটনায় জড়িত হলে ক্ষতিকর মহাকাশ বর্জ্যের সৃষ্টি হতে পারে। যা ভবিষ্যৎ মহাকাশ মিশনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। জেনে রাখা ভালো, স্পেসএক্সের এসব স্যাটেলাইটের এক একটির আকার একটি টেবিলের সমান এবং ভর ৫৫০ পাউন্ড। আকারের সঙ্গে কক্ষচ্যুত স্যাটেলাইটের গতির বিবেচনা করলে এমন একটি ভবঘুরে স্যাটেলাইট অন্যান্য স্যাটেলাইটের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এই হারে স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট অকেজো হতে থাকলে শেষ পর্যন্ত স্টারলিংক প্রকল্পের এক হাজার দুইশ’র বেশি স্যাটেলাইট কক্ষচ্যূত হয়ে পড়ে মহাকাশে নিরুদ্দেশ ঘুরে বেড়াবে। যা অন্যান্য স্যাটেলাইট, মহাকাশ মিশন এমনকি নভোচারীদের জন্য মারাত্মক বিপদ বয়ে আনতে পারে।

স্পেসএক্স জানায়, কক্ষপথে তারা ১২ হাজারের মতো স্যাটেলাইট পাঠাতে চায়। অধিকাংশ স্যাটেলাইট পৃথিবী থেকে ১ হাজার কিলোমিটার উপরে থাকে। কিন্তু স্টারলিং স্যাটেলাইটগুলো থাকে অনেক নিচে, প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়। প্রথাগত স্যাটেলাইটের চেয়ে তাদের এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বেশি গতির ইন্টারনেট পাওয়া যাবে।

নেটওয়ার্কটি এরইমধ্যে কানাডার কিছু অঞ্চলসহ যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলে পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকজন ব্যবহারকারী এটি ব্যবহার করেছেন।