• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির

মহামারি আক্রান্ত ছেলে বাবাকে যা বলেছেন

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২০  

প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পুরো বিশ্ব টালমাটাল। এ মহামারি নতুন কোনো কিছু নয়, যুগে যুগে মানুষ নিজেদের কর্মকাণ্ডের কারণে নানা ধরনের মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছিলেন।

মহামারির আক্রমণে যুগে যুগে প্রাণ হারিয়েছে অনেক মানুষ। বাদ যাননি জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবিও। মহামারি আক্রান্ত ছেলে আব্দুর রহমান ও বাবা হজরত মুআজ রাদিয়াল্লাহু আনহুর কথাগুলো হতে পারে মানবাজাতির জন্য শিক্ষণীয় ঘটনা।

মহামারি করোনাভাইরাস থেকে সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি। মহামারি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতকে করেছেন সতর্ক। হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (মহামারি) প্লেগ সম্পর্কে বলেছেন, ‘এটা হচ্ছে একটা আজাব। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের উপর ইচ্ছা তাদের উপর তা প্রেরণ করেন। তবে আল্লাহ মুমিনদের জন্য তা রহমতস্বরূপ করে দিয়েছেন। কোনো ব্যক্তি যদি প্লেগে আক্রান্ত জায়গায় সওয়াবের আশায় ধৈর্য ধরে অবস্থান করে এবং তার অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস থাকে যে, আল্লাহ তাকদীরে যা লিখে রেখেছেন তাই হবে, তাহলে সে একজন শহিদের সাওয়াব পাবে।’ (বুখারি)

১৮ হিজরিতে মহামারি করোনায় প্রথম শহীদ হয়েছিলেন সেনাপতি হজরত আবু উবায়দাহ ইবনুল জাররাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু। তারপর সেনাপতির দায়িত্ব গ্রহণকারী হজরত মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহু স্ত্রী-সন্তানসহ শাহাদাত লাভ করেছিলেন।

মহামারি আক্রান্ত হওয়া হজরত মুআজ রাদিয়াল্লাহ আনহু পরিবারের ঘটনাটি ছিল এমন-
হজরত আবু উবাইদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর মৃত্যুর পর সিরিয়া মুসলিম সেনাপতি হন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আরেক সাহাবি হজরত মুআজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু।

সে সময় সিরিয়া অবস্থানকারী মুজাহিদদের অনেকেই মহামারি প্লেগ-এর আতঙ্কে ভীত ছিলেন। হজরত মুআজ রাদিয়াল্লাহু আনহু নতুন সেনাপতি হওয়ার পর মুসলিম বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে একটি ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি ঘোষণা করেন-
‘এই (মহামারি) প্লেগ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসিবত নয়, বরং তাঁর রহমত এবং নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দোয়া। হে আল্লাহ! এই রহমত আমার ঘরেও পাঠিয়ে দিন এবং আমাকেও এর যথেষ্ট অংশ দান করুন।’ (হায়াতুস সাহাবা)

হজরত মুআজ দোয়া শেষ করে দেখলেন তার সবচেয়ে প্রিয় সন্তান আব্দুর রহমান প্লেগ আক্রান্ত হয়ে গেছেন। ছেলে বাবাকে কুরআনের ভাষায় সান্ত্বনা দিয়ে বলেন-
الْحَقُّ مِن رَّبِّكَ فَلاَ تَكُونَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِينَ
বাস্তব সত্য সেটাই যা তোমার পালনকর্তা বলেন। কাজেই তুমি সন্দিহান হয়ো না।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৪৭)

প্রিয় সন্তানর মুখে কুরআনের সান্ত্বনার বাণী শুনে পিতাও কুরআন থেকে উত্তর দেন-
سَتَجِدُنِي إِن شَاء اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ
আল্লাহর ইচ্ছায় নিশ্চয় তুমি আমাকে সবরকারী হিসেবেই পাবে।’ (সুরা সাফ্ফাত : আয়াত ১০২)

উল্লেখিত আয়াতের প্রেক্ষাপটটি ছিল ভিন্ন। এ কথাটি বলেছিল হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম। যখন তার পিতা ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তাকে জবেহ করার স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। তখনই তিনি বাবাকে বলেছিলেন। আপনি আল্লাহর নির্দেশ পালনে আমাকে জবেহ করুন। নিশ্চয় আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যধারণকারী হিসেবেই পাবেন।

রাসুলুল্লাহর সাহাবি হজরত মুআজ রাদিয়াল্লাহু আনহু তার সন্তান আব্দুর রহমানকে এ আয়াত দ্বারাই সান্ত্বনা দেন। কিছু দিনের মধ্যেই হজরত মুআজ রাদিয়াল্লাহু আনহুর প্রিয় সন্তান আব্দুর রহমান প্লেগে আক্রান্ত হয়ে শাহাদাত বরণ করেন। তারপর তার দুই স্ত্রীও প্লেগে আক্রান্ত হয়ে শাহাদাত বরণ করেন।

হজরত মুআজ রাদিয়াল্লাহু আনহু শাহাদাত
তারও কিছুদিন পর হজরত মুআজ রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাতের একটা আঙুলে ফোঁড়া বের হয়। তা দেখে তিনি আনন্দিত হন এবং খুশিতে বলে ওঠেন-
‘দুনিয়ার সব সম্পদ এ ফোঁড়ার তুলনায় মূল্যহীন।’ অল্প কিছু দিন পর তিনিও প্লেগে আক্রান্ত হয়ে শাহাদাত বরণ করেন।

সম্প্রতি সময়ে করোনাভাইরাসের আক্রমণে বিশ্বব্যাপী চলছে এক মহাআতঙ্ক। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এখনো এ মহামারি থেকে মুক্তির কোনো চূড়ান্ত সমাধান বের করতে পারেনি। মহামারি করোনায় বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে।

পবিত্র নগরী মক্কায় ওমরা পালন এবং মদিনা জেয়ারতও রয়েছে স্থগিত। এ ভাইরাসে পুরো বিশ্বজুড়ে একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে সতর্কতা অবলম্বন করা।

বিশেষ করে
মহামারি করোনাকে অনেকেই মহান আল্লাহর আজাব বা মানবজাতির জন্য শাস্তি হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। বিশ্বব্যাপী জুলুম-অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়াকেই তারা এ শাস্তির কারণ হিসেবে উল্লেখ রেছেন।

কারণ চীন সরকারের বিগত কয়েক বছরের মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব এবং মুসলিমদের উপর অমানুষিক নির্যাতনের ফলেই অনেকে এটাকে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আজাব বা গজব মনে করছেন।

চীন থেকে এটি ছড়িয়ে পড়েছে পাশ্ববর্তী অঞ্চলসহ ইউরোপের দেশ ইতালি ও স্পেনে। যেখানে এটি মারাত্মক মহামারি আকার ধারণ করেছে। চীনের চেয়ে বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো।

হাদিসের দৃষ্টিকোন থেকে মহামারি করোনা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, (মহামারি) প্লেগকে বলেছেন আল্লাহর পক্ষ থেকে আজাব, আবার বলেছেন এটা মুমিনদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে রহমত। একই মহামারি কারো জন্য আজাব আবার কারো জন্য হতে পারে রহমত। তবে এটিকে ঢালাও ভাবে আল্লাহর পক্ষ থেকে আজাব বা রহমত বলার কোনো সুযোগ নেই।

মহামারিতে সাহাবাদের মৃত্যুর কারণ
যেখানে সাহাবিদের ব্যাপারে আল্লাহর ঘোষণা হলো এমন- ‘আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।’ তাহলে প্রশ্ন জাগে যে-
‘মহামারি প্লেগে আক্রান্ত হয়ে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবি হজরত আবু উবায়দাহ, হজরত মুআজ রাদিয়াল্লাহু আনহুর পরিবারসহ সুহাইল ইবনে আমর, ফদল ইবনে আব্বাস, ইয়াজিদ ইবনে আবি সুফিয়ান, আবু মালিক আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহুম আজমাইন সাহাবিগণ কি আল্লাহর আজাবে পতিত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন?

সমাধান হচ্ছে-
‘না’। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবাগণ হাদিসের ওপর আমল করতে গিয়ে মহামারি প্লেগকে রহমত হিসেবে নিয়েছিলেন। তারা শাহাদাতের মৃত্যু কামনা করেছিলেন। এমনকি হজরত মুআজ রাদিয়াল্লাহু আনহু তা পেতে আল্লাহর কাছে যুদ্ধের ময়দানে দোয়াও করেছিলেন। এটি ছিল তাদের জন্য তাদের দোয়ার কাঙ্ক্ষিত ফল। যা তারা চেয়েছিলেন। এটি ছিল তাদের জন্য শাহাদাতের মর্যাদা।

করোনায় মুমিন মুসলমানের করণীয়
সুতরাং মহামারি করোনায় মুমিন মুসলমানের উচিত, বেশি বেশি আল্লাহর কাছে দোয়া করা। তাওবা-ইসতেগফার করে অন্যায় কাজ ছেড়ে দেয়া। গোনাহমুক্ত জীবন গড়া। যে কারণে বিশ্বনবি মহামারি আক্রান্ত অঞ্চলে না গিয়ে আল্লাহর কাছে আশ্রয় লাভের কথাও বলেছিলেন। হাদিসে এসেছে-
‘যেসব জায়গায় প্লেগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে সেসব জায়গায় যাবে না। তারপর বলেছেন, আবার যেখানে আছো সেখানে প্লেগ দেখা দিলেও অন্যত্র যাবে না।’

সুতরাং যারা মহামারি কারোনাভাইরাস থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে চায়, তারা যেন আল্লাহর আশ্রয় লাভে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং হাদিসের দিকনির্দেশনাগুলো মেনে চলে। যে নির্দেশনাগুলো দিয়েছেন বিশ্বনবি।

নিয়মিত যে দোয়া ও আমল করবে মুমিন
মুমিন মুসলমানের জন্য নিয়মিত বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষিত ‘মুআব্বিজ’ ও দোয়ার আমল করা একান্ত আবশ্যক। মুয়াব্বিজের আমল সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে রোগে ইন্তেকাল করেন সে রোগের সময়ে তিনি নিজ দেহে ‘মুআব্বিযাত’ (সুরা নাস, ফালাক ও ইখলাস) পড়ে ফুঁক দিতেন। অতপর যখন রোগের তীব্রতা বেড়ে গেল, তখন আমি সেগুলো পড়ে ফুঁক দিতাম। আর আমি তাঁর নিজের হাত তাঁর দেহের উপর বুলিয়ে দিতাম। কেননা, তাঁর হাতে বারাকাত ছিল। রাবী বলেন, ‘আমি যুহরিকে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি কীভাবে ফুঁক দিতেন? তিনি বললেন, (বিশ্বনবি)তাঁর দুই হাতের উপর ফুঁক দিতেন, অতপর ওই দুই হাত দিয়ে আপন মুখমণ্ডল বুলিয়ে নিতেন।’ (বুখারি)

মহামারি করোনায় হাদিসে উল্লেখিত এ আমলটি নিয়মিত করা যেতে পারে। আর তাতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে মহামারি করোনা থেকেও মুক্তি দান করতে পারেন। কেননা তিনিই তো রোগ-বালাই থেকে সেরা আরোগ্যদানকারী।

এছাড়াও করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকতে হাদিসে ঘোষিত এ আমলগুলোও করা যেতে পারে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তিনবার বলবে-
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিসসামায়ি, ওয়া হুয়াসসাম উল আলিম।’
সকাল হওয়া পর্যন্ত ওই ব্যক্তির উপর আকস্মিক কোনো বিপদ আসবে না। আর যে ব্যক্তি সকালে তিনবার এ দোয়া পড়বে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার ওপর কোনো বিপদ আসবে না।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ)
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে, যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।’

>> اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَ الْجُنُوْنِ وَ الْجُذَامِ وَمِنْ سَىِّءِ الْاَسْقَامِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাচি ওয়াল জুনুনি ওয়াল ঝুজামি ওয়া মিন সায়্যিয়িল আসক্বাম।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি)

>> اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ وَ الْاَدْوَاءِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক্বি ওয়াল আ’মালি ওয়াল আহওয়ায়ি, ওয়াল আদওয়ায়ি।’ (তিরমিজি)

করোনা থেকে মুক্ত থাকতে কাবা শরিফের প্রধান ইমাম শায়খ সুদাইসি বলেন-
‘তুমি থাকতে কার কাছে অভিযোগ করব আল্লাহ! তুমি ছাড়া কার কাছে হাত পাতবো হে আল্লাহ! তুমিই তো একমাত্র মাবুদ। তোমাকে ছেড়ে আমরা কার ইবাদত করব? তোমার ওপরই আমাদের সব আশা-ভরসা। হে আল্লাহ! আমাদের সেসব লোকদের অন্তর্ভুক্ত কর, যারা নেয়ামত পেলে শোকর আদায় করে। বিপদে সবর করে। গোনাহ হলে তওবা করে।

প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাসের এ বিপদ মুহূর্তে তিনি বেশি বেশি এ দোয়া পড়তে গুরুত্বারোপ করেন। আর তাহলো-
لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِالله الْعَلِىِّ الْعَظِيْم
উচ্চারণ : ‘লা হাউলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।’
অর্থ : ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি নেই, কোনো ভরসা নেই, যিনি মহান ও সর্বশক্তিমান।’

মহামারি করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবের সময় সব মানুষের উচিত, আল্লাহর কাছে বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা। ধৈর্যের সঙ্গে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করা। করোনা মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় ও চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যবিষয়ক সিদ্ধান্ত যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে মেনে চলা।

একান্তই যদি কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো নিজেদের মধ্যে দেখতে পায় তবে তার উচিত নিজ থেকে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোয়ারেন্টাইনে অবস্থানের প্রস্তুতি নিয়ে নেয়া।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহসহ পুরো মানবজাতিকে মহামারি করোনা থেকে মুক্ত থাকার নিয়তে হাদিসের যথাযথ আমল ও দোয়াগুলো ধৈর্যের সঙ্গে পালনের তাওফিক দান করুন। আমিন।