• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যেসব খাবার খাবেন

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২০  

বিশ্ববাসীকে মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সচেতন করার লক্ষ্যে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর পালিত হয় মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এর মূল লক্ষ্য হল, মানুষকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করা এবং শিক্ষিত করা। 

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য: অধিক বিনিয়োগ-অবাধ প্রবাহ’। ১৯৯২ সালের ১০ ই অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস প্রথম পালিত হয়। তৎকালীন উপ-মহাসচিব রিচার্ড হান্টার-এর সময় ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ মেন্টাল হেলথ প্রথম এই দিবস পালন করা শুরু করেছিল। কিছু দেশে একে মানসিক রোগ সচেতনতা সপ্তাহের অংশ হিসেবে পালন করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, প্রতি ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে কেউ না কেউ আত্মহত্যার মাধ্যমে প্রাণ হারান। আত্মহত্যাজনিত মৃত্যুর অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য। 

কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে, যেগুলো মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারে। ক্লিনিকাল সহায়তা ছাড়াও, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা এই প্রাকৃতিক উপায়গুলো থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। যেনে নিন মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কোন খাবারগুলো খাবেন-  

চিয়া সীড 
চিয়া সীড আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। 

ডিম   
ডিমে কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টি থাকে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এতে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড, বায়োটিন এবং কোলিন মস্তিষ্কের কোষ ও স্নায়ুর বিকাশের জন্য বেশি প্রয়োজনীয়।

দই
দই আমাদের পাচনতন্ত্রকে স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য পরিচিত। গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, দই খেলে স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কম হয়। এটি সরাসরি ব্যক্তির মুড-কে প্রভাবিত করে। 

ব্রোকলি 
এই সবজিটিতে এমন কয়েকটি যৌগ রয়েছে, যা মস্তিষ্ক স্বাস্থ্যকর রাখতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে, যা মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ বাড়ায় এবং মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে।

বাদাম 
এগুলোতে উচ্চ পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম এবং তামা রয়েছে। এগুলো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং মানসিক অসুস্থতা উপশম করতে সহায়তা করে। 

ডার্ক চকলেট 
ডার্ক চকলেটে কোকো থাকার কারণে, এটি ব্লাড সার্কুলেশন উন্নত করতে পরিচিত। এর ফলে স্মৃতি শক্তির বৃদ্ধি হয়। ফ্ল্যাভোনয়েডস মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে এবং মস্তিষ্ককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।