• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

মুজিব বর্ষে নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন করা হবে: শিল্প প্রতিমন্ত্রী

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে যে ১০০টি অর্থনীতি অঞ্চল ঘোষণা দিয়েছিলেন তার কাজ চলছে। শিল্পখাতে আমরা অচিরেই স্বয়ংসম্পূর্ণ হব। তিনি বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ সার কারখানা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী আরো বলেন, মুজিব বর্ষে নতুন নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন করা হবে। চাহিদা অনুযায়ী আমরা আমাদের উৎপাদিত পণ্য নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করতে পারবো। বন্ধ থাকা শিল্পকারখানা চালু করার মাধ্যমে শ্রমিক কর্মচারীদের কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার ব্যবস্থা করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয় আশুগঞ্জ ইউরিয়া সারকারখানা এখন আর হচ্ছে না। নরসিংদীর পলাশে বছরে ১০ লাখ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নতুন একটি কারখানা হচ্ছে। যার কারণে নতুন আর কোন সার কারখানা করার পরিকল্পনা এই মুহূর্তে সরকারের নেই। উত্তর বঙ্গে নতুন সারকারখানা নির্মাণের কথা জানান শিল্প প্রতিমন্ত্রী।

এসময় মন্ত্রীর সফর সঙ্গী বিসিআইসির চেয়ারম্যান, হাইয়ুল কাইয়ূম সাংবাদিকদের জানান, সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে আগামী দুই বছরের মধ্যে আশুগঞ্জ সারকারখানা লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে বিসিআইসির চেয়ারম্যান বলেন,গত বছর কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিসিআইসির কাছে ২৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন সারের চাহিদা পাঠানো হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ হচ্ছে ৮ লাখ টন যে কোনো মূল্যে রিজার্ভ রাখতে হবে। যেনো কোনো গুজব রটিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে। সেই কারণে যে কোনো ভাবে ৮ লাখটন অতিরিক্ত মজুদ রাখতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে মোট ৩৪লাখ মেট্রিকটন সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। কিন্তু দু:খের বিষয় আমাদের গুদামে মাত্র ৩লাখ টন ধারণ ক্ষমতা আছে। বাকি সার গুলো আমাদেরকে খোলা আকাশের নিচে রাখতে হচ্ছে।

নতুন গুদাম তৈরী ও সার মজুদ রাখার লক্ষ্যে সরকার আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। ইতো মধ্যে দুইটা ফেইজে কাজ চলছে। একটি হচ্ছে ১৩ বাফার আরো একটি হচ্ছে ৩৪ হাজার বাফার প্রকল্প। আগামী ৩ মাসের মধ্যে কিছু গুদাম আমরা বুঝে পাব। এ বছরের মধ্যে ৫-৭ টি গুদামে বুঝে পাব। আগামী ২ বছরের মধ্যে ৪৭টি গুদাম নির্মাণ হলে সারগুলো আর নষ্ট হবেনা। এর আগে মন্ত্রীকে আশুগঞ্জ সারকারখানার সম্মেলন কক্ষে স্লাইড শোয়ের মাধ্যমে কারখানার কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন আশুগঞ্জ সারকারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান। এসময় প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব শাহ মুমিন, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার, আশুগঞ্জ সারকারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এটিএম বাকি সহ কারখানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।