• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা, যেসব ভুল করা যাবে না

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০১৯  

 


মেডিকেল ও ডেন্টালে ২০১৯- ২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার। আজ বাদে আর একদিন পরই এই পরীক্ষা শুরু হবে। এবার আসন আছে ১০ হাজার ৪০৪টি। এসব আসনের বিপরীতে লড়বেন ৭২ হাজার ৯২৮ ভর্তিচ্ছু।

একজন ভর্তিচ্ছুকে যেসব বিষয়গুলো মেনে চলা জরুরি

১. কোনো নেগেটিভ থিংকিং করা যাবে না।
২. সময় অপচয় করা যাবে না
৩. প্রয়োজনীয় খাওয়া দাওয়া করতে হবে। পরীক্ষার আগে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিলে চলবে না। এতে শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪. কোনো ভাবেই হতাশ হওয়া যাবে না,ধৈর্য্যের সাথে যথাযথ ভাবে সময়ের সদ্ব্যবহার করতে হবে।
৫. জাস্ট দাগানো লাইনগুলো পড় + সাজেশনগুলো ভাল করে দেখ।
৬. যারা বিগত বছরের প্রশ্ন পড় নাই৷ পড়ে ফেল। সেইম টপিক্স এর জিনিস গুলো দেখে ফেল। একাধিকবার রিভাইস দেয়াটা জরুরি কারণ যতবার রিভাইস দিবে তত ভাল মনে থাকবে।
৭. মেডিকেলে ভর্তির জন্য নিখুত প্রস্তুতি প্রয়োজন। মাত্রাতিরিক্ত ফেসবুকিং বাদ দিতে হবে।

পরীক্ষার আগের দিন করণীয়

মূল পরীক্ষার আগে প্রিপারেশন শেষ করা জরুরি। পরীক্ষার ঠিক আগের দিনটিতে বেশি পড়ালেখা করার কোনো দরকার নেই। রিলাক্স মুডে থাকবে। নিজের সিট কোথায় পড়ল, সেটা একবার দেখে আসাটা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, পরীক্ষার দিন সকালে তাহলে আর টেনশনে পড়তে হবে না।প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন বলপয়েন্ট কলম, পেনসিল, ইরেজার, প্রবেশপত্র ফাইলে গুছিয়ে রাখতে হবে।

পরীক্ষার দিন করণীয়

১. যেখানে  সিট পড়েছে, সেই হল খুলে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবেশ করবেন। ধীরস্থির হয়ে বসে টেবিলে রেখে পরীক্ষক প্রশ্নপত্র দেয়ার পর সাবধানে নির্ধারিত ঘরগুলো পূরণ করতে হবে।

২. প্রশ্ন যতই কঠিন হোক না কেন ভয় পাওয়া যাবে না। আগে প্রশ্ন টা ভালোভাবে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বে তারপর যেগুলো পারো সেগুলো উত্তর করবো। কারণ প্রশ্ন দেখে ভয় পেলে নার্ভাসনেস এর জন্য পরে আর পরীক্ষা দিতে পারবে না।

৩. সময় বলতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ মিনিটের মধ্যে ১০০টা এমসিকিউ দাগাতে হবে। তার মান প্রতি প্রশ্নের জন্য ০.৬ মিনিট মানে ১ মিনিটের কম সময় পাবা এর মাঝে ওএমআর শিট ফিলআপ, এটেডেন্সে সাইন করা এই ৬০ মিনিটের ভিতর করতে হবে।

তাহলে এখন থেকে টাইম মেইনটেইন করাটা শিখতে হবে। প্রথমে পুরো প্রশ্নটা ভালো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো ভাবে পড়বে তারপর যে প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা সেগুলো উত্তর করবেন, তারপর যেগুলো একটু কনফিউশন থাকে মানে ৫০/৫০ তাহলে এইগুলো দাগানোর চেষ্টা করবেন।

সর্বোপরি, একজন শিক্ষার্থীকে মানসিকভাবে রিলাক্স থাকতে হবে। একজন শিক্ষার্থীকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে এবং অবশ্যই মনে সাহস রেখে পরীক্ষা দিতে হবে।