• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন লিখতে হবে স্পষ্ট অক্ষরে: হাইকোর্ট

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৯  

চিকিৎসকদের দেওয়া মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন স্পষ্ট অক্ষরে লিখতে হবে। আর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের একটি টাইপ করা কপিও ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হবে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের প্রতি এই নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। দেশের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং সব সিভিল সার্জনকে জানাতে ওই নির্দেশনাসংবলিত সার্কুলার জারি করতে স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত বলেছেন, যেকোনো হত্যা মামলায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

কক্সবাজারে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দেওয়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের লেখা অস্পষ্ট হওয়ার প্রেক্ষাপটে ওই আদেশ দেওয়া হয়। ওই মামলায় সাইফুলের সহপাঠী অপর কিশোরের জামিন শুনানিতে ওই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। আদালতে জামিন আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী দাস তপন কুমার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

পরে আইনজীবী দাস তপন কুমার বলেন, জামিন চেয়ে করা আপিল শুনানিতে গত ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট নিহত ছাত্রের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন। এ অনুসারে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোলতান আহমদ সিরাজীর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনটি অস্পষ্ট ও পড়ার অযোগ্য, যা আদালতের নজরে আসে। শুনানি নিয়ে আদালত ওই কিশোরকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন। ফলে, গাজীপুর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ওই কিশোরের মুক্তিতে বাধা নেই।

নথিপত্র থেকে জানা যায়, সাইফুল হত্যার ঘটনায় ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার থানায় মামলা করে তার বাবা। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাইফুলের ওপর হামলা চালায় ওই কিশোরসহ অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জন। আহত অবস্থায় সাইফুলকে কক্সবাজারে জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি সে মারা যায়। এই মামলায় গত বছরের ১৯ নভেম্বর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে ওই কিশোর। এরপর হাকিম আদালতে জামিন চেয়ে বিফল হয় কিশোরটি। পরে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জামিন চাইলে গত ১২ সেপ্টেম্বর কিশোরের জামিন নামঞ্জুর হয়। এর বিরুদ্ধে আপিল করে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করে ওই কিশোর।