• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে নোবেলজয়ীদের ৪০ শতাংশই অভিবাসী!

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯  

যুক্তরাষ্ট্রে গত ১৯ বছরে রসায়ন, পদার্থবিদ্যা ও চিকিৎসায় নোবেল বিজয়ীদের প্রায় ৪০ শতাংশই অভিবাসী। চলতি বছর রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় নোবেল বিজয়ীদের মধ্যে যে দু’জন মার্কিনীর নাম এসেছে, তারাও অভিবাসী। 

এবছর লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির উন্নয়নে অবদান রাখায় রসায়নে নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বিংহামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এম. স্ট্যানলি হুটিংহাম। তার জন্ম যুক্তরাজ্যে। আর পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী জেমস পিবেলস। জন্মসূত্রে তার দেশ কানাডা। ভৌত মহাজাগতিক তাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। 

সোমবার (১৪ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আমেরিকান পলিসির (এনএফএপি) বরাতে এতথ্য জানিয়েছে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বস।

এনএফএপি বলছে, ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে রসায়নে নোবেলপ্রাপ্ত ও মনোনীতদের সংখ্যা ৩৩ জন। এদের মধ্যে ১২ জনই (৩৬ শতাংশ) অভিবাসী। অপরদিকে, পদার্থবিদ্যায়ও ৩৩ জনের নাম এসেছে, যাদের মধ্যে ১৪ জনের (৪২ শতাংশ) জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই সংখ্যা ২৯ জনের মধ্যে ১০ জন (৩৫ শতাংশ)। 

ফোর্বস বলছে, নোবেল বিজয়ী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উঠে আসলেও এদের বেশিরভাগই অভিবাসী। 

১৯০১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত নোবেলপ্রাপ্ত ৩০২ জনের মধ্যে ১০৫ জন অভিবাসী। অর্থাৎ, প্রায় ৩৫ শতাংশ ভিন্নদেশ থেকে এসে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত। বর্তমানে এই সংখ্যা তিন শতাংশ বেড়ে ৩৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। 

এনএফএপি নোবেলের তিনটি ক্যাটাগরির ওপর গবেষণা করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ গবেষণা থেকে তারা প্রশ্ন রেখেছে, তবে কি যুক্তরাষ্ট্রের এখন যেকোনো গবেষণার ক্ষেত্রে অন্য দেশের নাগরিকের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে? অথবা সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে গবেষণার মূল কেন্দ্রস্থল হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা? 

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী প্রবেশে ট্রাম্প প্রশাসনের কড়াকড়ি আরোপ নিয়ে অনেকেই কঠোর সমালোচনা করেছেন।

ফোর্বস বলছে, দেশের সুনাম কুড়িয়ে আনতে অথবা অর্থনৈতিক অগ্রগতি, চিকিৎসা ও বিভিন্ন গবেষণায় মার্কিনীদের পাশাপাশি অভিবাসীরাও সমান অবদান রাখছেন।