• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক বাজারে সবচেয়ে বেশি ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২০  

করোনার প্রথম ধাক্কায় এখনও টালমাটাল বিশ্বের তৈরি পোশাকের বাজার। তবে, কিছুটা হলেও ইতিবাচক হতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বেড়েছে পোশাকের আমদানি। আর করোনাকালীন চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসের হিসাবে দেশটিতে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ ৫টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) দেয়া পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসের বিবেচনায় মার্কিন বাজারে নেতিবাচক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোরও ইঙ্গিত দিয়েছে চীন, ভিয়েতনাম, ভারতও। দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত মার্কিন বাজারে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে ৩৭০ কোটি ডলারের; চলতি বছর একই সময়ে তা নেমে আসে ৩০০ কোটি ৭৩ ডলারে। আর গত বছর আগস্ট পর্যন্ত এই রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪২২ কোটি ৭৪ ডলার; চলতি বছর একই সময়ে এই আয় নেমে এসেছে ৩৬০ কোটি ৩৪ ডলারে। এসব তথ্যে দেখা যায় মার্কিন বাজারে এখনও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতেই ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে, ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির দিকে হাঁটছে। যেমন, ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রথম ৭ মাসে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানি থেকে যে পরিমাণ আয় করেছে চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে সেই আয় কমেছে ১৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ। কিন্তু ৮ মাসের হিসাবে এই ব্যবধান বেশ কমেছে। আগস্ট শেষে এই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশে। অর্থাৎ আগস্টে বেশ বেড়েছে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি। আর তাতেই এক লাফে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি কমেছে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।  

একইভাবে, চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসের হিসাবে ভিয়েতনামের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ, ৮ মাসের হিসাবে তা নেমে এসেছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। অর্থাৎ ভিয়েতনাম ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়েছে ১ দশমিক ২১ শতাংশ। একই সময়ের হিসাবে দেশটিতে ভারতীয় পোশাকের রপ্তানি আয়ের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি কমে ২৭ দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে ২৫ দশমিক ৪৭ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ ভারত ঘুরে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ২৩ শতাংশ। চীনের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ৪২ দশমিক ৮০ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৪০ দশমিক ৯৩ শতাংশে। অর্থাৎ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পথে চীনের অগ্রগতি ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে, মার্কিন পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষে থাকা ৫টি দেশের মধ্যে বাজার থেকে আরও ছিটকে গেছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

মাসভিত্তিক পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ যেমন এগিয়েছে তেমনি এগিয়েছে মার্কিন পোশাকের বাজার দখলেও। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত এক বছরে মার্কিন পোশাক বাজারের ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ দখলে ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু আগস্টে এসেছে বেড়েছে দাপট। সবশেষ আগস্ট পর্যন্ত এক বছরের হিসাবে মার্কিন পোশাকের বাজারের ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ এসেছে বাংলাদেশের দখলে। অর্থাৎ বাজার বেড়েছে দশমিকি ২০ শতাংশ। মার্কিন বাজার দখলের হিসাবে বাংলাদেশের সামনে রয়েছে শুধু ভিয়েতনাম। ভিয়েতনামের বাজার বেড়েছে দশমিক ২৫ শতাংশ। ভারতের বাজার বেড়েছে দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। একই সময়ে চীনের দখলে থাকা মার্কিন পোশাক বাজারের হিস্যা কমেছে দশমিক ৮১ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ার কমেছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।   

আগস্ট পর্যন্ত বাজার মার্কিন বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ ৫টি দেশ যথাক্রমে- চীন, ভিয়েতনাম, ভারত, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া। চীনের দখলে রয়েছে ২৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, ভিয়েতনামের ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ভারতের ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ, বাংলাদেশের ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ার দখলে রয়েছে ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।