• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:

যে কারণে দেশি মৌসুমি ফল খেতে বলেন চিকিৎসকরা

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২০  

করোনা আবহে বাড়াতেই হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এর কোন বিকল্প নেই, কেননা এখন পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক পাওয়া যায়নি। তাই প্রতিদিন দেশি ফল খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেন দেশি ফল খেতে বলা হয়? তা জানাটা অত্যন্ত এই সময়ের জন্য জরুরি।

শুধুমাত্র পুষ্টিগুণের জন্য নয়, আরও নানা কারণে দেশি (স্থানীয়) ফল বেশি খেতে বলছেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা। এক্ষেত্রে অ্যাভোকাডো, কিউই, ব্লু বেরি, রাস্প বেরি, ড্রাগন ফ্রুটের থেকে আম, কলা, পেয়ারাকেই এগিয়ে রাখছেন তাঁরা।

স্থানীয় ফলের ক্ষেত্রে ফলনের কিছু দিনের মধ্যেই তা বাজারে চলে আসে। এমনকি, বাড়ির গাছ হলে সে ক্ষেত্রে ফল পাকলেই তা খাওয়ার সুযোগ রয়েছে। মওসুমি ফলের মধ্যে উৎসেচকের পরিমাণ বেশি থাকায় তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। স্থানীয় এলাকার মাটি, পানি, বাতাসেই বেড়ে ওঠে এই ফলের গাছ। তাই স্থানীয় সংক্রমণ বা মওসুমি সংক্রমণের ক্ষেত্রে এদের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতাও বেশি।

কিন্তু বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ফল স্বাদে অনেক সময় অতুলনীয় হলেও এই ফল আমদানি করার সময় সতেজ রাখার জন্য মেশানো হয় প্রিজারভেটিভ। এ কারণে ভেঙে যায় উৎসেচক, কমে পুষ্টিগুণ। ফলে বিদেশি ফল খেলে পুষ্টি তেমন একটা মিলে না।

দাম যেমন কম তেমনি দেশি মওসুমি ফল থাকেও টাটকা। এ জাতীয় ফলের ক্ষেত্রে স্বাদও অনেক বেশি থাকে। স্থানীয় ফলের ক্ষেত্রে মওসুমের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। যেমন গরমকালে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, বেদানা; বর্ষাকালে আনারস-মুসাম্বি, শীতকালে কমলা লেবু, মাল্টা, কুল পাওয়া যায়। এই ফলগুলো যে সময়ের সেই সময়ের নানা সংক্রমণে প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। এছাড়া নানারকম ফল খাওয়ার সুযোগও হয়, তাতে একঘেঁয়েমিও কমে- এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদরা।

অন্যদিকে আমদানিকৃত ফল বা এক্সোটিক ফ্রুটের ক্ষেত্রে ফল পাকার অনেক আগেই গাছ থেকে পেড়ে নেওয়া হয়। পরিবহনের খরচ জুড়ে যাওয়ায় ফলের দামও বেশি হয়। আবার ফল সতেজ রাখার জন্য রাসায়নিক স্প্রে করা হয় অনেক ক্ষেত্রেই। তাই পুষ্টিগুণের বিচারে দেশি মওসুমি ফলকেই এগিয়ে রাখছেন পুষ্টিবিদরা। তবে স্বাদ বদলের জন্য মাঝে মাঝে এক্সোটিক ফ্রুট বা আমদানিকৃত ফল খাওয়া যেতেই পারে।

কিছু স্থানীয় ফল নির্দিষ্ট কোন এলাকায় শুধু নির্দিষ্ট মওসুমে বেশি পাওয়া যায়। তা সংগ্রহ করে অবশ্যই ডায়েটে রাখতে বলছেন পুষ্টিবিদরা। তবে ডায়াবেটিস ও কিডনির অসুখ বা অন্য কোনও সমস্যা থাকলে কোন ফল খাবেন আর কোনটা খাবেন না, এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

আতা, বেল, আমলকি, কাজু বাদাম, নারিকেল এই ফলগুলো প্রাকৃতিকভাবেই প্রোটিন ও খনিজ সমৃদ্ধ।

মনে রাখবেন, গাছে ফলন এবং ফল খাওয়া এ দুইয়ের মধ্যে সময় যত কম, পুষ্টিগুণ তত বেশি। এ কথা মাথায় রেখেই প্রতিদিনের ডায়েটে ফল খেতে বলছেন পুষ্টিবিদরা।