• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

রাজনৈতিক অজ্ঞতায় চূড়ান্ত দুর্দশায় বিএনপি!

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২০  

 


রাজনৈতিক দুর্দশা, নেতৃত্বের ব্যর্থতা ও জনগণের সমর্থন হারানোর কারণে প্রায় একযুগ ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বিএনপি। ক্ষমতার স্বাদ না পাওয়া এবং রাজনীতির নামে সুবিধা আদায় করতে না পারার কারণে বিএনপিতে দলত্যাগী নেতাদের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। যার কারণে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, বিএনপির এই অধঃপতন ও ব্যর্থতার কারণ কি? এছাড়াও দলটির রাজনৈতিক দৈনদশায় প্রশ্ন উঠছে, আগামীতে কি বিএনপি জনগণের দল হিসেবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? ব্যর্থতা ও দুর্নীতির অভিশাপ মোচন করে বিএনপি কি পারবে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে?

জানা গেছে, এমন সব প্রশ্নে প্রতিনিয়ত জর্জরিত হচ্ছেন বিএনপি নেতারা। তারা এসব প্রশ্নের সদুত্তরও দিতে পারছেন না। বিএনপির এমন হঠাৎ ছন্দপতনের কারণ খুঁজতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছে দলটির হাইকমান্ড।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিজেদের রাজপথের বিরোধী দল দাবি করলেও বিগত ৫ বছরে রাজপথকেন্দ্রিক কোনো কর্মসূচি পালন করেনি বিএনপি। জনস্বার্থ তো দূরের কথা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যও দলটির নেতাকর্মীরা রাজপথে নামতে পারছে না। প্রেসক্লাব আর বিভিন্ন হলরুমকেন্দ্রিকই চলে তাদের কর্মসূচি। বলা যায়, তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা বিএনপি এখন ঘরোয়া পার্টিতে পরিণত হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির বর্তমান দুরবস্থার পেছনে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, নেতাদের সরকারের এজেন্ট হয়ে কাজ করার পাশাপাশি কিছু বুদ্ধিজীবীও দায়ী। বিএনপিপন্থী এসব বুদ্ধিজীবী মাঝে মধ্যে সরকারের এজেন্ট হয়ে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিভ্রান্তমূলক পরামর্শ দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এমাজউদ্দিন আহমদ ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পরামর্শে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণেই আজ দলের এই করুণ অবস্থা হয়েছে বলে দলটির মাঠ-পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযোগ। ২০১৪ সালের পর থেকেই বিএনপির পতন শুরু হয়। বিএনপির এই পতনে কাজ করেছেন বুদ্ধিজীবীরা। তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের ধার করা বুদ্ধিতে চলতে গিয়ে বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দিয়েছেন বেগম জিয়া ও তারেক রহমান, এমনটাই মনে করেন বিএনপিত্যাগী নেতারা।

বিএনপিত্যাগী নেতা শমসের মুবিন চৌধুরী মনে করেন, অন্যের বুদ্ধি ধার করে চলেন বেগম জিয়া ও তারেক রহমান। মূলত প্রাতিষ্ঠানিক ও রাজনৈতিক শিক্ষার অভাবের কারণে তারা পরনির্ভরশীল হয়ে থাকেন। যার কারণেই আজ দলের এই অবস্থা। বিপথগামী একদল চাটুকারদের কারণে বেগম জিয়ার বিএনপি আজকে ব্যর্থ দলে পরিণত হয়েছে। সত্যি বলতে, বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের অশিক্ষা-অনভিজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে চাটুকার কিছু নেতারা বিএনপিকে এতদিন ভুল পথে পরিচালিত করেছেন। সেসব ভুলের মাসুল দিতে হচ্ছে বেগম জিয়াকে।