• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

রানুকে কেন দেখাশুনা করেননি, জানালেন তার মেয়ে নিজেই

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

 

রানু মারিয়া মণ্ডল, এখন ইন্টারনেট দুনিয়ায় সুপরিচিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাধে দ্রুতই সবার কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। ভারতের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকারের একটি গান কলকাতার একটি স্টেশনে গেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হন তিনি।

এরপর ভারতের জনপ্রিয় শিল্পী তাকে প্লেব্যাকের সুযোগ দেন। এরই মধ্যে হিমেশের সুরে ৩টি প্লেব্যাক করে ফেলেছেন তিনি। এখন তিনি সেলিব্রিটি!

তবে সন্তান থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে স্টেশনে ভিক্ষা করে জীবন ধারণ করতে হলো? কেন মায়ের জন্য এগিয়ে আসেননি রানুর মেয়ে এলিজাবেথ সাথী রায়? এসব নিয়ে এবার মুখ খুললেন রানুর মেয়ে নিজেই।
বীরভূমের সিউড়িতে থাকেন রানুর মেয়ে। এলিজাবেথ সাথী রায়ের কথায়, ‘আমি জানতামই না যে মা রেলস্টেশনে গান করতেন কারণ আমি নিয়মিত মাকে দেখতে যেতাম না। কয়েকমাস আগে আমি ধর্মতলায় গিয়েছিলাম এবং মাকে একটি বাসস্ট্যান্ডে বসে থাকতে দেখি। আমি মাকে বলি, এক্ষুণি বাড়ি যাও এবং ২০০ টাকাও দিই। আমি এক কাকার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে যথাসম্ভব ৫০০ টাকা করে পাঠাতাম মাকে। আমি তালাকপ্রাপ্ত নারী এবং সিউড়িতে একটি ছোট মুদির দোকান চালাই। পাশাপাশি ছেলেও একাই মানুষ করছি। ছোট ছেলের দেখাশোনা করি। নিজেকে অনেক সংগ্রাম করতে হয় আমার। তবুও আমি যতটুকু পারি মাকে দেখাশোনা করার চেষ্টা করি। আমি বেশ কয়েকবার মাকে বলেছি আমাদের সঙ্গে থাকো, কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে থাকতে চান না। তবুও লোকেরা আমাকে দোষ দিচ্ছে। সবাই আমার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে কথা বলছে। আমি এখন কার কাছে যাব?”

রানুর মেয়ের অভিযোগ এখানেই শেষ হয়নি। আরও বিস্ফোরক হয়ে তিনি বলেন, ‘অতীন্দ্র, তপন এবং শয়তান ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা আমাকে হুমকি দিয়েছে। মায়ের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমার পা ভেঙে দেবে বলেছে। ওরা আমাকে ফোনেও মা’র সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেয় না। এমনকি, আমার বিরুদ্ধে মায়ের মগজ ধোলাইও করছে। আমি অসহায় বোধ করি। তপন ও অতীন্দ্র খ্যাতি চায়, তাই ওরা আমাকে সরাচ্ছে। তপন তো আমার মায়ের কাছ থেকে টাকা নেয় রোজকারের জিনিস কিনে দেওয়ার অজুহাতে। মা’র অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকাও সরিয়েছে আর মায়ের জন্য কেবল একটা স্যুটকেস এবং কয়েকটা নাইটি কিনে দিয়েছে।’

অতীন্দ্র ও তপন এবং শয়তান ক্লাবের মাধ্যমেই রানু মণ্ডলের গান গাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়।