• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

 


জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে আগামী দুই মাস জাটকাসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এ সময়ের মধ্যে মাছ ধরা, সংরক্ষণ, পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

এ অভিযান বাস্তবায়ন করতে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, পুলিশ ও কোস্টগার্ড কাজ করবে। জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা ও মাইকিং করা হচ্ছে।

এদিকে দুই মাস মাছ শিকার থেকে বিরত থাকা জেলেদেরকে দেয়া হবে খাদ্য সহায়তা।

শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে জেলার মেঘনা উপকূলীয় সদর, রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলায় মেঘনা নদীতে মাছ শিকার থেকে বিরত থাকবেন জেলেরা। বিকেল থেকে তারা ঘাটে ও নদীর আশ-পাশের খালে নৌকা নিরাপদে রাখবেন।

সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাট মেঘনাপাড়ের জেলে হারুন, সবুজ মাঝি, আবদুল ও কাদের বলেন, নদীতে মাছ শিকারই তাদের একমাত্র পেশা। নিষেধাজ্ঞা সময় তারা নদীতে যেতে পারেন না। এ সময় তাদের সংসারে অভাব-অনটন থাকে। তাই দ্রুত ভিজিএফ‘র চাল বিতরণের দাবি জানান তারা। 

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকা মাছের অভয়াশ্রম। মার্চ-এপ্রিল এ দুই মাস অভয়াশ্রমে জাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিচরণ করে, বেড়ে উঠবে। এমন পরিস্থিতিতে কোনো বাধা ছাড়াই মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন জানান, জাটকা রক্ষা ও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মেঘনার অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় মাছ ধরা থেকে জেলেদের বিরত রাখতে লিপলেট বিতরণ, মাইকিং ও জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে। 

মৎস্য বিভাগ, জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও নৌ-পুলিশ নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করা হবে। নদীতে যাতে কোনো জেলে মাছ শিকার করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইন অআন্য করে মাছ শিকার করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। এ সময় জেলার ২৪ হাজার ৪০০জন জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৪০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হবে।

এছাড়া নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে।