• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

লঞ্চডুবির পর গ্রেফতার এড়াতে যেভাবে আত্মগোপনে ছিলেন বাসার

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২০  

বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনার পর অভিযুক্ত ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার মো. আবুল বাসার (৫৭) আত্মগোপনে চলে যান। গ্রেফতার এড়াতে তিনি দেশের বিভিন্নস্থানে পালিয়ে ছিলেন। আজ সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলেন এ তথ্য জানান র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান।

গত ২৯ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন ফরাশগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ এর একটি লঞ্চের (ঢাকা-চাঁদপুর গামী) ধাক্কায় মর্নিংবার্ড নামের লঞ্চটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় ৩২ জনের প্রাণহানী ঘটে। মর্নিংবার্ড লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাট আসছিল। মর্মান্তিক এ লঞ্চডুবির ঘটনায় গত ৩০ জুন দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। বাসার এ মামলার দুই নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।

গ্রেফতার ময়ূর -২ লঞ্চের মাস্টার বাসার মাগুরার মোহম্মদপুর থানার মণ্ডলগাতির কলাগাছি গ্রামের মৃত সিরাজুল হক মোল্লার ছেলে।

অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান বলেন, ঘটনার পর আবুল বাসার আত্মগোপনে চলে যান। তিনি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনে ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি নিজ গ্রাম মাগুরাতে চলে যান এবং রাতের খাবার খেয়ে পাশের একটি গ্রামের একজনের বাড়িতে রাত যাপন করেন। পরের দিন ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গা চলে যান। সেখানে দুই দিন অবস্থান করার পর ফরিদপুরের রোয়ালমারি থানার আখালিপাড়া তার ভায়রার বাড়িতে অবস্থান করেন।

সেখান থেকে বাসার ঢাকার দিকে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার বাসারকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।