• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

শান্তি মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান বাংলাদেশের

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২০  

শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। ‘সামনে থেকে নেতৃত্বদান: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারী নেতৃত্ব’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল ইভেন্টে বক্তব্যকালে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এ আহ্বান জানান।

শনিবার ( ২৪ অক্টোবর) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নিরাপত্তা পরিষদের ল্যান্ডমার্ক রেজ্যুলেশন-১৩২৫ এর ২০তম বার্ষিকী স্মরণে যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ, কানাডা ও যুক্তরাজ্য মিশন।  

২০০০ সালের ৩১ অক্টোবর নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় নারীর ভূমিকা শীর্ষক এই রেজুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
শান্তিরক্ষায় নারীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।  

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে বিশেষ করে ‘যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দমন’, ‘পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক তৈরি’ এবং এসব সমাজের নারীদের দেশগঠনের কাজে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে নারী শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদানের কথা উল্লেখ করেন তিনি।  

তবে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ সামগ্রিক শান্তি প্রক্রিয়ায় এখনও নারীর অংশ নেওয়া খুবই অপ্রতুল বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
শান্তিরক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রসমূহের চলমান প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।  

‘শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী’ শীর্ষক নিরাপত্তা পরিষদের সাম্প্রতিক রেজ্যুলেশন-২৫৩৮ এর উদাহরণ টেনে নারীর ব্যাপক অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদান, মিশনসমূহে নারীবান্ধব স্থান ও পরিবেশ তৈরি এবং ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা (ডব্লিউপিএস)’ এজেন্ডার বাস্তবায়নের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।  

জাতীয় পর্যায়ে ডব্লিউপিএস এজেন্ডা বাস্তবায়নার্থে গতিশীল প্রচেষ্টা গ্রহণ এবং কান্ট্রি অফিসসমূহসহ জাতিসংঘ ব্যবস্থাপনায় অভ্যন্তরীণভাবে এটি কার্যকর করার প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রোস, কানাডার প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল জোনাথন ভেঞ্চ, যুক্তরাজ্য মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জোনাথন অ্যালেন।  
এছাড়া পশ্চিম সাহারা অঞ্চলে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মিনুরসোর ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার, দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত মিশন ইউনিমিসের পুলিশ কমিশনার ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে নিয়োজিত মিনুসকা মিশনের রিজিওনাল কমান্ডারসহ মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন নারী নেতৃত্ব বক্তব্য রাখেন ভার্চ্যুয়াল এই অনুষ্ঠানটিতে।

আলোচনা অংশের সমন্বয় ও এর সমাপ্তি টানেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২০০০ সালে নির্বাচিত সভাপতি, জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আনওয়ারুল করিম চৌধুরী।

আলোচনা পর্বে আরও অংশ নেন জাতিসংঘে নিযুক্ত অষ্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও আয়ারল্যান্ড মিশনের রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য প্রতিনিধিরা। কূটনীতিক মিশন, সামরিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং সুশীল সমাজের বিপুল সংখ্যক অংশীজন অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেন।

নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ২০০০ সালে রেজ্যুলেশন-১৩২৫ গ্রহণের ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ সরকার ডব্লিউপিএস এজেন্ডা বাস্তবায়নে গত বছর একটি জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা নেয়। নারী শান্তিরক্ষা মিশনসহ বাংলাদেশ সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসাবে এখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদান রেখে চলেছে।