• বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

শিশু কৃমি সংক্রমণে অতীষ্ঠ? প্রতিরোধ করুন ঘরোয়া উপায়ে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি ২০২০  

কমবেশি সব শিশুরাই কৃমিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। সাধারণত মাটি এবং পানির সংস্পর্শে শিশুরা কৃমি দ্বারা সবচেয়ে বেশি সংক্রামিত হয়।

কৃমির ডিম দৈনন্দিন খাবার কিংবা ব্যবহৃত পানির মাধ্যমে শিশুর শরীরে প্রবেশ করে। খালি পায়ে সরাসরি মাটিতে হাঁটলে অনেক সময় কৃমির ডিম চামড়ার মাধ্যমে শিশুর শরীরে প্রবেশ করে।

এছাড়াও বড়রা (মা,বাবা কিংবা পরিবারের অন্যান্য সদস্য যারা খাবার তৈরি করে বা বাচ্চাকে খাওয়ায়) তারা যদি কৃমি দ্বারা সংক্রামিত হয়ে থাকে তবে আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড় চোপড়, হাত, পা, নখের মাধ্যমে কৃমির ডিম শিশুর পেটে প্রবেশ করে এবং সংক্রমণ ছড়ায়। অনেক সময় মাছ, মাংস কিংবা কাঁচা শাক সবজির মাধ্যমেও কৃমির ডিম শিশুর পেটে প্রবেশ করে থাকে।  

এবার তবে জেনে নিন ঘরোয়াভাবে শিশুর কৃমি দূর করবেন কীভাবে?

ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি, বাবা-মায়েরা শিশুদের কৃমির জন্য ঘরোয়া প্রতিকারগুলো বিবেচনা করতে পারেন, নিম্নলিখিত উপাদানগুলো শিশুর খাদ্যে মণ্ড আকারে মিশিয়ে দিয়ে-

কাঁচা পেঁপে: এটির একটি এনজাইম আছে, পাপাইন, যেটি একটি কৃমিনাশক হিসাবে কাজ করে এবং অন্ত্রের মধ্যে কৃমিকে ধ্বংস করে।

রসুন: এটি একটি প্রাকৃতিক কৃমিনাশক এজেন্ট এবং পরজীবী কৃমিনাশ করতে অত্যন্ত কার্যকর।

ক্যারম বীজ: এই বীজ থাইমল সমৃদ্ধ, যা অন্ত্রের পরজীবী বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এগুলোকে গুড়ের সঙ্গে মিশ্রিত করে একটি শিশুকে দেয়া হয়।

কুমড়ো বীজ: এই বীজে কিউকারবিটাসিন আছে যেটি কৃমিদেরকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে তোলে এবং শরীরের মধ্যে তাদের বেঁচে থাকা প্রতিরোধ করতে পারে।

করলা: এটি পেটের কৃমির সঙ্গে যুদ্ধ করতে সহায়তা করে। পানি এবং মধু দিয়ে মেশালে তিক্ত স্বাদ থাকে না।

নিম: এটির একটি পরজীবী বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে এবং বিভিন্ন অন্ত্রের কৃমি ধ্বংস করতে উপকারী।

গাজর: গাজরে ভিটামিন এ থাকে যা শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অন্ত্রের পরজীবীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে। খালি পেটে গাজর খাওয়া কৃমি পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে।

হলুদ: এটি একটি অভ্যন্তরীণ অ্যান্টিসেপটিক এবং এটি সব ধরণের কৃমি নির্মূল করার জন্য পরিচিত।