• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

শীতে যেসব খাবারে গরম থাকবে শরীর

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২০  

সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। শীতের হাত থেকে বাঁচতে গরম কাপড়ের পাশাপাশি এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত, যা শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখে ও আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরের সচলতা অনেকাংশেই নির্ভর করে খাবারের ওপর। অর্থাৎ ঠিক ঠিক খাবার খেলে শরীর ঠিক থাকবে, আর যদি ঠিক মতো খাবার না খাওয়া হয়, তবে বিভিন্ন রোগ চেপে বসবে। সেই কারণেই তো শীতকালে সুস্থ-সবল থাকতে নিজের ডায়েট প্ল্যানের দিকে একবার নজর দিতে হবে। আসুন জেনে নিই, আপনাকে উষ্ণ রাখার জন্য শীতে যেসব খাবার গ্রহণ করবেন-

# মধু: মধুতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল ও আন্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের ইমিউনিটি বজায় রাখে। শরীরে তাপ উৎপাদনে সাহায্য করে। ঠান্ডাজনিত অসুখ থেকে রক্ষা করে। সর্বোপরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

# তুলসী ও আদা: শীতের সকালে তুলসী পাতা আর আদাযুক্ত চায়ের স্বাদই আলাদা। এছাড়াও আদা ও তুলসী দেহে থার্মোজেনেসিস প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে, হজমশক্তি বাড়ায়, ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ায়। তাই শীতকালে তুলসী-আদা চা যেন বাদ না যায় প্রতিদিনের ডায়েট থেকে।

# ঘি: ঘি শুনেই কি ওজন বৃদ্ধির ভয় পাচ্ছেন? তাহলে ঝেড়ে ফেলে দিন সেই ভয়, কারণ ঘি সারা বছরের সুপার ফুড। প্রতিদিন অল্প পরিমাণ ঘি খেলে রক্তে গুড কোলেস্টেরল তৈরি হয়,যা হার্টকেও ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও দৈহিক তাপমাত্রা বজায় রাখা, হজমশক্তি বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখা, পেশির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের করে দেয়।

# গুড়: প্রচুর আয়রন, এনার্জির উৎস ছাড়াও গুড় কিন্তু হজমশক্তিও বৃদ্ধি করে। যাদের ডায়াবিটিস রয়েছে তারাও কিন্তু নির্ভয়ে গুড় খেতে পারেন। শীতে শরীরকে গরম রাখতে জুড়ি নেই গুড়ের।

# দারুচিনি: প্রতিদিন দারুচিনি খেলে দেহে মেটাবলিজম বাড়ে। গরম পানি বা রান্নায় মসলা হিসেবে যে কোনো ভাবেই খাওয়া যেতে পারে দারুচিনি।

# তিল: মিনারেল ও আন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তিলের কিন্তু অত্যন্ত ভালো ক্ষমতা রয়েছে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ করার। দৈহিক তাপমাত্রা ও বজায় থাকে এতে।

# গরম স্যুপ: মিনারেল ও ভিটামিন সমৃদ্ধ যে কোনো গরম সুপ কিন্তু শীতের সন্ধ্যার স্ন্যাক্স হতেই পারে। এমনকি রাতের খাবারের জন্যও খুবই ভালো। এতে চিকেন বা সয়াবিন যোগ করলেই একটা কমপ্লিট নিউট্রিশন ব্যাংক পেয়ে যাবেন।

# ড্রাই ফ্রুটস: আমন্ড, আখরোট, খেজুর ইত্যাদি দেহে তাপ উৎপাদন ছাড়াও প্রায় ৩.৫ শতাংশ অধিক ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ইমিউনিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে।

# কলা: কলা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ যা দেহে থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কার্য ক্ষমতা বজায় রাখে। এই থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ই কিন্তু প্রধানত দেহে তাপমাত্রা বজায় রাখে।

# ডিম: ডিমকে বলা হয় পুষ্টির পাওয়ার হাউস, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল সমৃদ্ধ এই খাদ্যটি একদিকে যেমন দেহ তাপমাত্রা বজায় রাখে তেমনই অন্যদিকে ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেহে ইমিউনিটি রক্ষায় সাহায্য করে

# গাজর: শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় দ্রুত। গাজর খেলে ত্বকে পটাশিয়ামের অভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। গাজরে উপস্থিত মিনারেল ও ভিটামিন শরীর সুস্থ রাখে। গাজরের থাকা বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন ‘এ’-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে এই সবজি। তাই শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়।

# মুলা: ফাইবারে সমৃদ্ধ এই সবজিটি পাচন প্রণালীকে শক্তিশালী করে। শীতকালে মুলা খেলে শীতের হাত থেকে বাঁচা যায়। মুলাতে রয়েছে ভিটামিন সি। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মুলায় রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে এবং ওরাল, পাকস্থলী, বৃহদন্ত্র, কিডনি ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে।

# মিষ্টি আলু: শীতকালের এই সবজিটিরও রয়েছে শীত দূর করার ক্ষমতা। ফাইবার, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুকে বলা হয় সুপারফুড, যার রয়েছে দেহকে নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্ত রাখার পাশাপাশি শীত তাড়ানোর বিশেষ ক্ষমতা।