• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

শেখ রাসেল বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০১৯  

শারীরিক কাঠামো, সাঁতারের স্টাইল ও টাইমিং বিবেচনায় নিয়ে নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়ামে নবনির্মিত আধুনিক সুইমিং কমপ্লেক্সে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) উদ্বোধন করা হয় শেখ রাসেল বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতা।

বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে নারী ও পুরুষদের বয়সভিত্তিক এ প্রতিযোগিতায় পৃষ্ঠপোষকতা করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

তিনটি গ্রুপে দুইদিনে ৪৪টি ইভেন্টে অংশ নেবে ৪৫টি ক্লাবের ১৬২ জন বালক ও ৬৫ জন বালিকা। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশজুড়ে সেরা সাঁতারু খুঁজে বের করার লক্ষ্যে বিভিন্ন জেলায় চলছে এমন আয়োজন।

সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ বলেন, একদিন এই প্রতিযোগিরাই ঝড় তুলবেন পুলে। আজকের ক্ষুদে সাঁতারুরাই আগামিতে দেশের পতাকা হাতে এগিয়ে নেবে সাঁতারকে।

এ প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অতিরিক্ত অর্থ খরচ করবে সুইমিং ফেডারেশন।

১ একর জায়গাজুড়ে নির্মিত সুইমিং কমপ্লেক্সে ৫০ মিটার দৈর্ঘ্য, ২২ মিটার প্রস্থ এবং ১ দশমিক ৮ মিটার গভীর ৮ লাইনের সুইমিং পুলে প্রতিযোগিতায় নামবেন সাঁতারুরা।

শেখ রাসেল ক্লাব কাপ বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া খোলোয়াড়রা অত্যাধুনিক ড্রেসিং রুম, প্লেয়ার্স লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারবেন।

এছাড়া এখানে আছে দেড় হাজার দর্শকের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন গ্যালারি, বিশুদ্ধ পানির পিউরিফিকেশন প্ল্যান্ট, ডিপ টিউবওয়েল, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ২৫০ কেভি’র বিদ্যুৎ সাবস্টেশন এবং গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।

বিভিন্ন দূরত্বে ও পর্যায়ের সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১৮৯৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্‌স প্রতিযোগিতায় সাঁতারের সর্বপ্রথম অন্তর্ভুক্তি ঘটে। বর্তমানে অলিম্পিক ক্রীড়ায় ১০০ মিটার থেকে শুরু করে ১৫০০ মিটার দূরত্বের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া অন্যান্য সাঁতারবিষয়ক প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছে- ডাইভিং, সিনক্রোনাইজড সাঁতার ও ওয়াটার পোলো। এ ক্রীড়াটি ফেডারেশন ইন্টারনেশিওন্যাল দ্য নেটেশন (ফিনা) কর্তৃক আন্তর্জাতিকভাবে পরিচালিত হয়। ১৮০০ সালের দিকে ইউরোপে প্রতিযোগিতামূলক সাঁতার, বিশেষ করে ব্রেস্টস্ট্রোক ইভেন্ট চালু হয়।

১৮৭৩ সালে জন আর্থার ট্রুজেন পশ্চিমা সাঁতার প্রতিযোগিতায় স্থানীয় আমেরিকানদের বুকে হেঁটে সামনে অগ্রসর হওয়ার দৃশ্যকে উপজীব্য করে ট্রুজেন ধারা প্রবর্তন করেন। কিন্তু ব্রিটিশরা তা পছন্দ না করায় ট্রুডজেন কাচি-লাথি ধারার প্রবর্তন করেন।

আধুনিক অলিম্পিকে সাঁতার বিষয়ের প্রথম অন্তর্ভুক্তি ঘটে ১৮৯৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে। ১৯০২ সালে রিচমন্ড ক্যাভিল পশ্চিমা বিশ্বে ফ্রন্ট ক্রল ধারার সূচনা ঘটান। ১৯০৮ সালে বিশ্ব সাঁতার সংস্থা গঠিত হয়। ১৯৩০ এর দশকে বাটারফ্লাইয়ের আধুনিকায়ন ঘটে। ১৯৫২ সালে স্বতন্ত্র পদ্ধতি হিসেবে প্রচলনের পূর্ব পর্যন্ত ব্রেস্টস্ট্রোকের ন্যায় বাটারফ্লাই সাঁতার চালু ছিল।

২০০৯ সালের জুলাইয়ে ফিনা ভোটের মাধ্যমে বুননকৃত বা টেক্সটাইল স্যুইমস্যুট ব্যতিত অন্য যে কোনও ধরনের কৃত্রিম স্যুইমস্যুট পরিধান করে ২০১০ সাল থেকে প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর কারণ হিসেবে তারা বলেছে যে, বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম স্যুইমস্যুট পরিধান করে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ায় সাঁতারুদের প্রকৃত সক্ষমতা ও দক্ষতা নিরূপণে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। পাশাপাশি নতুন নিয়ম-কানুন প্রবর্তনের মধ্যে রয়েছে শরীরের অংশ ঢেকে রাখা সংক্রান্ত।

পুরুষ সাঁতারুদের ক্ষেত্রে নাভি থেকে হাঁটু এবং মহিলা সাঁতারুদের ক্ষেত্রে কাঁধ থেকে হাঁটু পর্যন্ত পোশাক পরিধান করা বাধ্যতামূলক।এছাড়াও সাঁতার প্রতিযোগিতায় অন্যান্য সরঞ্জাম বা উপকরণের মধ্যে রয়েছে- কান বন্ধনী, নাসিকারক্ষক, চশমা, টুপি, কিকবোর্ড, নিরাপত্তাবেষ্টনী ইত্যাদি। নাসিকারক্ষক উপকরণটি শুধুমাত্র সিনক্রোনাইজড সাঁতারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।