• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ষষ্ঠ শ্রেণিতেও স্কুলে বেতন দিতে হবে না শিক্ষার্থীদের

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০১৯  

আগামী বছর থেকেই ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ালেখাও অবৈতনিক হচ্ছে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির মতো ষষ্ঠ শ্রেণিতেও স্কুলে বেতন দিতে হবে না শিক্ষার্থীদের। ষষ্ঠ শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীর টিউশন ফি পরিশোধ করবে সরকার। এই ফি হবে সর্বনিম্ন ৩৫ টাকা। আর সর্বোচ্চ কত টাকা মাসিক টিউশন ফি পরিশোধ করা হবে, তা অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।

রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অবৈতনিক শিক্ষা চালুর কর্মপন্থা তৈরির জন্য এ বৈঠক করা হয়। এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষক নেতারা অংশ নেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদও এতে অংশ নেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, ষষ্ঠ শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ৩৫ টাকা করে টিউশন ফি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরের বছর থেকে সপ্তম শ্রেণিতেও অবৈতনিক শিক্ষা চালু হবে। এভাবে ২০২২ সালে অষ্টম শ্রেণিতে এবং ২০২৬ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে অবৈতনিক শিক্ষা চালুর কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।

সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক স্তরের মতো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া অবৈতনিক করতে চান। পর্যায়ক্রমে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করতে চান প্রধানমন্ত্রী। এ লক্ষ্যে প্রথম ধাপ হিসেবে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই ষষ্ঠ শ্রেণির লেখাপড়া অবৈতনিক করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'

একই সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষায় উপবৃত্তিপ্রাপ্তদের সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

তবে সংশ্নিষ্টরা বলছেন, সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করলেও শুধু ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বেতন দিতে হয় না। কিন্তু বেসরকারি স্কুল এবং সরকারি মাধ্যমিকের যেখানে প্রথম শ্রেণি রয়েছে, সেখানেও শিক্ষার্থীদের বেতন দিতে হয়। এমনকি বেসরকারি অনেক স্কুলেই মাসিক বেতন এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রশ্ন উঠেছে, যদি ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষাও অবৈতনিক করা হয়, তাহলে তা শুধু সরকারি ও এমপিওভুক্ত স্কুলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে কি-না? শহরে ও গ্রামের স্কুলের টিউশন ফি একেক জায়গায় একেক রকম। সে ক্ষেত্রে কমন ফি নির্ধারণ হলে জটিলতা সৃষ্টি হবে বলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা মনে করছেন।