• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

সালাতুদ দোহা কি ইসলামে প্রমাণিত?

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৯  

প্রশ্ন: এক লোক বলেছে ইসলামে সালাতুত দোহা বলতে কিছু নেই। বোখারির এক হাদিসে নাকি আছে সালাতুদ দুহা নামাজ বেদআত। এ ব্যাপারে সঠিক বিষয় কোনটি জানতে চাই?

উত্তর: হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) চার রাকাত সালাতুদ দোহা পড়তেন এবং কখনো এর চেয়ে বেশিও পড়তেন। (সহিহ মুসলিম ৭১৯)। 

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমার বন্ধু (রাসূল সা.) আমাকে তিনটি বিষয়ে অসিয়ত করেছেন। আমি যেন তা মৃত্যু পর্যন্ত না ছাড়ি। (১) প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোজা রাখতে  (২) সালাতুদ দোহা আদায় করতে (৩) বেতেরের নামাজ পড়ে ঘুমাতে। (সহিহ বুখারী ১১৬৫)।

ফুকাহায়ে কেরাম সালাতু দোহা পড়া মুস্তাহাব বলেছেন। তাই ওই ব্যক্তির কথা সঠিক নয়। রাসূল (সা.) নিজে পড়েছেন এবং পড়ার জন্য ওসিয়ত করেছন। হাদিসে এই নামাজ আদায়কারীর জন্য অনেক ফজিলতও বর্ণিত হয়েছে।

বুখারী শরিফের ১১৭৫ নম্বর হাদিস, মুজাহিদ রহ. বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) আয়েশা (রা.) নিকট বসা ছিলেন, তখন কিছু লোক মসজিদে সালাতুদ দোহা আদায় করছিলেন। ইবনে ওমর (রা.)-কে তাদের নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তা বিদআত। 

এই হাদিসের ব্যাখ্যায় প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা বদরুদ্দীন আইনি (রহ.) বলেন, বেদআত বলা হয় যা রাসূল (সা.) এর যমানায় ছিল না এমন কোনো কাজকে পরবর্তীতে আবিষ্কার করা।
 
আর রাসূল (সা.) নিজে উম্মে হানী (রা.) ঘরে সালাতুদ দোহা আদায় করেছেন। (সহীহ বুখারী ১১৭৬)।

ইবনে ওমর (রা.) সম্মিলিত ভাবে মসজিদে সালাতুদ দোহা আদায় করাকে বিদআত বলেছেন। স্বয়ং সালাতু দোহাকে তিঁনি বিদআত বলেননি। (উমদাতুল কারী ৮/৩১৯)। (এলাউসসুনান:৭/৩৩, মারাকিল ফালাহ: ৩৯৫, রদ্দুল মুহতার: ২/৫৬৩)।