• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:

স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের লোভ দেখিয়ে ডেকে এনে খুন!

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২০  

স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা। আর এ থেকে আত্মরক্ষার্থে খুন করা হয় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে। রাজধানীর ভাটারা এলাকায় একটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার এক দম্পতির বর্ণনা ছিল এমনই। তবে পুলিশি তদন্তে বের হয়ে আসে নারীর লোভ দেখিয়ে বাসায় ডেকে এনে টাকা আদায় করাই ছিল এই দম্পতির পেশা। টাকা আদায় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন করা হয় সাইফুলকে।

সম্প্রতি রাজধানীর ভাটারা এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার হয় ব্যবসায়ী সাইফুলের লাশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল বাসার তরুণ ভাড়াটিয়া দম্পতি। রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার হয় আপেল-শান্তা দম্পতি।

পূর্বপরিচিত সাইফুল তাদের বাসায় বেড়াতে এসে শান্তার সঙ্গে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয়। এতে বাধা দিলে শান্তাকে ছুরিকাঘাত করে সাইফুল। কেটে যায় শান্তার পা। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মদ্যপ সাইফুল নিজের ছুরির আঘাতেই মারা যান।

শান্তার পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখে বিশ্বাস করতে চান গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও। কিন্তু কোথায় যেন একটু দ্বিধা থেকে যায়।

পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সব স্বীকার করেন আপেল শান্তা দম্পতি। শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে সাইফুলকে ডাকা হয় বাসায়। কিন্তু বাসায় আসার পর সাইফুলের জামা কাপড় খুলে নেন আপেল ও তার বন্ধুরা। দাবি করা হয়, মোটা অংকের টাকা। সাইফুল চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে ছুরিকাঘাত করে আপেল। সেই আঘাতের একটি এসে লাগে শান্তার পায়ে।

শান্তা বলেন, আমাকে শারীরিক সম্পর্কের করার কথা বলে আমাকে ফোন দিতে বললে, আমি সাইফুলকে ফোন দেই।

আপেল বলেন, সে যখন পড়ে যায়, তখন তার মুখে ওড়না গুজে দেই। তার ধস্তাধস্তির এক সময় আমার হাতের ছুরিতেই আঘাত লাগে আমার স্ত্রীর।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, ঘটনার পরদিন সকালে বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৩০০ ফুট সড়ক এলাকায় একটি সেতুর নিচে ছুরিটি ফেলে যায় শান্তা। তার দেখানো মতে, উদ্ধার করা হয় ছুরিটি। শান্তার কললিস্ট পরীক্ষা করে দেখা যায়, ১৫ দিনে ৬ হাজার ফোন করেছে সে। এ থেকেই বোঝা যায় ফোন করে ব্ল্যাকমেইল করাই ছিল তাদের পেশা।

গোয়েন্দা বিভাগ উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, বিভিন্ন মানুষদের নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে, টাকা পয়সা নিয়ে নিত। বাবার এমন নির্মম পরিণতিতে ব্যথিত কন্যা দাবি করলেন সুষ্ঠু বিচার। সাইফুলের মেয়ে বলেন, আমার বাবা নির্দোষ ছিল। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এ ঘটনার জড়িত রাফি নামে আরো এক যুবককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় গোয়েন্দা পুলিশ।