• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

হটলাইন সার্ভিস `১০৬` : প্রধানমন্ত্রীর অনন্য এক অবদান

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯  

 

আপনার আশে পাশে কোথাও দুর্নীতি হচ্ছে এবং আপনি চাইছেন তার প্রতিকার করতে। কিন্তু আপনি যদি না জানেন কিভাবে কোথায় অভিযোগ দিতে হয়, তবে চাইলেও তার প্রতিকার করা সম্ভব নয়। আর তাইতো আপনার  এমন কথাগুলো শোনার জন্য সরকার চালু করেছে ১০৬ দুদক হটলাইন সার্ভিস ।  

২০০৮ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতা গ্রহণের পর সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ দেখা দেয় দুর্নীতি রুখে দেওয়া। মাত্র কিছুদিন আগেই যে সরকারি দল ক্ষমতায় ছিলো, সেই সরকারের আমলে দুর্নীতি এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে দেশ পর পর ৩ বার দুর্নীতিতে বিশ্বে প্রথম হয়। দুর্নীতি বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর ছিলো সরকার। এই ধারাবাহিকতায় দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে আধুনিকায়ন প্রয়োজন অনুভব করে।

কিন্তু সকল কাজে জনগণের সংযুক্তি বাড়াতে না পারলে কোনভাবেই সামনে এগোনো সম্ভব নয়। আর তাই সাধারণ মানুষকে সংযুক্ত করতে হটলাইন “১০৬” এর প্রস্তাবনা চলে আসে। এবং ২৭ই জুলাই ২০১৭ দুদকের মিডিয়া সেন্টারে ‘হটলাইন ১০৬’ উদ্বোধন করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আবদুল মুহিত।

২০২১ সালের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। তারই  ধারাবাহিকতায় দুর্নীতি দমন কমিশন কে আরো আধুনিক ও যুগোপযোগী করে তুলতে এ উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ সরকার। বর্তমান দেশের সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা ১১ কোটি ৪০ লাখের উপরে। দেশের মানুষের হাতে যদি দ্রুত সেবা পৌঁছে দিতে হয় তবে মোবাইল ফোনের বিকল্প নেই বললেই চলে। এমন চিন্তাধারা বিবেচনায় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুদক “১০৬” জরুরী সেবা নম্বরের প্রচারণা শুরু করে । 

কোন খরচ ছাড়াই যে কোন মোবাইল বা টেলিফোন থেকে এই নাম্বারে কল করে দুদককে দুর্নীতির তথ্য, অভিযোগ জানানো যাবে। অফিস চলাকালীন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই নম্বরে ফ্রি কল করে দুর্নীতির তথ্য জানানো যাবে। একাধিক ব্যক্তি একই সঙ্গে অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগকারীর নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে। অভিযোগকারী চাইলে তার বক্তব্য রেকর্ড করা যাবে। অফিস চলাকালে, অর্থাৎ সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কল করা যাবে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, এর মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে তাদের প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। দ্রুত দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। দুর্নীতির ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে অথবা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে—এমন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকার বা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতির ঘটনা ঘটার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা সৃষ্টি হবে। বিষয়টি মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পায়। দুর্নীতি দমন কমিশনের টেলিফোন হটলাইনে প্রথম এক সপ্তাহেই ৭৫ হাজার কল আসে। এবং বর্তমানে প্রতিদিন কয়েক হাজার কল আসে।  

একটি আধুনিক যুগোপযোগী সেবা-সম্বলিত দুর্নীতি দমন কমিশন গড়তে হটলাইন ১০৬ বাস্তবায়ন ছিলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনন্য এক অবদান। এর ফলে সাধারণ মানুষের সাথে সরকারের আন্তঃসংযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবেই বাংলাদেশ একদিন হয়ে উঠবে আধুনিক ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ এমন প্রত্যাশা সবার।