• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

হঠাৎ কেউ অজ্ঞান হলে যা করবেন

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২ জানুয়ারি ২০২১  

রাস্তা ঘাটে চলতে ফিরতে কত ঘটনা ঘটে। যেকোনো মুহূর্তে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে যে কেউ। এমনকি আপনার অনেক আপনজন। এ অবস্থায় ঘাবড়ে না গিয়ে প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নিলে অনেক সময় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থা এড়ানো যায়।

কেউ কেউ হঠাৎ করে আবার কেউ কেউ ধীরে ধীরে অজ্ঞান হতে পারে। অনেকে অল্প সময়ের জন্য, কেউবা অনেকক্ষণ অজ্ঞান থাকতে পারে। অজ্ঞান রোগী গা ঝাঁকুনি বা উচ্চ শব্দে বা ব্যথায় সাড়া নাও দিতে পারে। অনেকের শ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে এমনকি, নাড়ীর গতিও কমে যেতে পারে। এরকম অবস্থায় বুঝে উঠতে পারি না যে এখন কি করা প্রয়োজন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কী করবেন এমন অবস্থায় সে সম্পর্কে-  

> প্রথমতো একটি অ্যাম্বুলেন্স ডাকার ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীর নাম ধরে ডাকুন আর নাম না জানা থাকলে কিছু একটা বলে সম্বোধন করুন। 

> রোগীকে সোজা করে শুইয়ে দিন। এই সময় রোগীকে অবশ্যই কাত করে রাখতে হবে। চিত বা উপুড় করে রাখলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

> রোগীর নাকের কাছাকাছি একটি হাত নিয়ে অনুভব করতে চেষ্টা করুন, শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে কিনা। শ্বাস-প্রশ্বাস চলার ব্যাপারটি বুকের ওঠানামা দেখে এবং নিঃশ্বাসের শব্দ শুনেও বুঝতে পারা যায়। ঠিক এই অবস্থায় আপনাকে কয়েকটি কাজ একসঙ্গে করতে হবে। 

> গায়ে শক্তভাবে আটকানো কোনো পোশাক থাকলে তা ঢিলা করে দিন। শক্ত করে আটকানো বেল্ট বা বক্ষবন্ধনীর জন্য রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কোনোভাবেই উঠিয়ে বসানো যাবে না। এই অবস্থায় কোনো খাবার দেয়া নিষেধ। 

> আঙুলে রুমাল জড়িয়ে রোগীর মুখে জমে থাকা লালা বের করে দিতে হবে। মাথা পেছনের দিকে কাত করে ধরে থুতনি একটু উঁচু করে ধরুন। 

>  এই সময় খিঁচুনিও থাকতে পারে। খিঁচুনি হলে হাত-পায়ের কাছ থেকে আঘাত লাগতে পারে এমন সবকিছু সরিয়ে নিন। খিঁচুনির রোগীকে জোর করে ধরে রাখার চেষ্টা করবেন না। দ্রুত একপাশ ফিরিয়ে শুইয়ে দিন। পাশাপাশি রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিন। 

> শ্বাসকষ্ট হলে মুখের লালা পরিষ্কার করার পাশাপাশি খেয়াল করুন দাঁত ও জিহ্বার অবস্থান কি। যদি জিহ্বা দাঁতের মাঝে আটকা পড়ে অথবা জিহ্বা পেছনের দিকে গিয়ে শ্বাসনালির মুখ আটকে দেয়, তাহলে একটি চামচের উল্টো দিক দিয়ে দাঁতের পাটিকে খুলে জিহ্বাকে যথাস্থানে রাখার চেষ্টা করুন। 

এছাড়া স্ট্রোক, অ্যাকসিডেন্ট ও মাথায় আঘাত, এপিলেপ্সি বা মৃগী, হার্ট অ্যাটাক, হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়া, ডায়াবেটিস থেকে সুগার কমে অথবা বেড়ে যাওয়া, রক্তে লবণের তারতম্য, খুব বেশি জ্বর, নেশার দ্রব্য বা বেশি মাত্রায় ওষুধ খাওয়া, সাপের কামড়, বিষক্রিয়া, বজ্রপাত ও ইলেকট্রিক শক, হিটস্ট্রোক, থাইরয়েডের বা পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের সমস্যা, লিভার বা কিডনি ফেইলিউর, বিষাক্ত গ্যাসের সংক্রমণ (দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা গর্তে কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস জমে থাকে, সেখানে কেউ ঢুকলে এ ধরনের বিপদে পড়তে পারেন)।

হঠাৎ হার্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। এটি জরুরি অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে কার্ডিয়াক ম্যাসাজ দেয়া জরুরি। যদি জানা থাকে রোগী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাহলে দেরি না করে মিষ্টি কিছু খাইয়ে দিন। গ্লুকোজ বা চিনির পানি খাওয়ানোই ভালো।