• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:

হাট কাঁপাবে খোকাবাবু!

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২০  

আর কয়েকদিন পরেই কোরবানির ঈদ। আর ঈদকে টার্গেট করে সারা দেশের মতো টাঙ্গাইলের নাগরপুরের খামারিরাও প্রস্তুত তাদের গরু নিয়ে।

কালো সাদার মিশেল রঙের সুঠাম স্বাস্থ্যের অধিকারী ষাঁড়টিকে আদর করে নাম দেয়া হয়েছে খোকাবাবু। খোকাবাবু খুবই শান্তশিষ্ট একটি ষাঁড়। ষাঁড়টিকে টাঙ্গাইলের নাগরপুরের নঙ্গীনা বাড়ির মো. আবুল কাশেম মিয়া আদর যত্মে লালন পালন করেছেন। যার ওজন প্রায় ২৭ মণ। খুবই শান্ত, রোগমুক্ত এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই খোকাবাবুর। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ টাঙ্গাইলের নাগরপুরের নঙ্গিনাবাড়ির কাশেমের বাড়িতে এসে খোকাবাবুকে দেখে যান। 

গরু পালনের বিষয়ে খামারি কাশেম বলেন, গরুর ফিট খাবার খাওয়ানোর সাধ্য আমার নেই। তাই নাগরপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ দফতরের ডা.রফিকুল ইসলাম স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। স্যার বলেন, আপনি গরুর ওজন এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে প্রাকৃতিক (ব্যালেন্সড) সুষম খাবার খাওয়ালে অর্থ ও ঝুঁকি দুইই কমবে এবং নিরাপদ মাংস উৎপাদিত হবে।

খোকাবাবুর দামের প্রত্যাশায় কাশেম আরো বলেন, বাজার ক্রেতা ও গরুর সরবরাহের উপর নির্ভরশীল তবে আমি ১২ লাখ টাকা চাচ্ছি। 

আগামী ঈদেও তিনি এমন গরু নাগরপুরবাসীকে উপহার দেবে কি না প্রশ্নের জবাবে বলেন, যদি পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পাই তবে অবশ্যই চেষ্টা করব আরো ভাল মানের গরু তৈরি করার।

খোকাবাবুর খাদ্য তালিকার মধ্যে রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের সবুজ ঘাস, গাছের পাতা, খর, ভূষি, ভুট্টা ভাঙা, সরিষার খৈল, নালি, চালের কুড়া, লবণ, পরিমাণ মতো পানি। 

নিয়মিত গোসল করানো, পরিষ্কার ঘরে রাখা, বাবুর ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত হাঁটানো, রুটিন অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেয়া ও কৃমির ওষুধ খাওয়ানো এসব বিষয় স্যারের পরামর্শেই আজ খোকাবাবু ওজন এক টন। খোকাবাবুকে মোটা তাজা করার ব্যাপারে কোনো প্রকার ওষুধ ও ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আশিক সালেহীন বলেন, ষাঁড়টি সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন পালন করা হয়েছে। গরুটির জাত হলো ফ্রিজিয়ান। এ জাতের ষাঁড় আমাদের দেশে এখন খামারিরা পালন করছে। আমার জানা মতে এ ষাঁড়টিই নাগরপুর উপজেলায় সবচেয়ে বড়।