৭ জুনের সমাবেশে কী বলবেন বঙ্গবন্ধু তা নিয়ে চলে জল্পনা-কল্পনা
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২০
১৯৭২ সালের ৭ জুন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেবেন, তা নিয়ে ক’দিন ধরে শহরে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা চলছিল। ৭ জুনের দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। খবরে বলা হয়, শহরে চলমান এই জল্পনা-কল্পনা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে করছিলেন। ব্যবসায়ী মহল বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছেন সবচেয়ে বেশি। তারা ভাবছেন, বঙ্গবন্ধু হয়তো তার ভাষণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হ্রাস করার পদক্ষেপ হিসেবে দ্রব্যমূল্য নির্দিষ্ট করে দেওয়ার নির্দেশ দেবেন। তার ফলে তাদের অতিমুনাফা করার পথ হয়তো বন্ধ হবে। ফলে অসাধু ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক বিরাজ করছিল।
৭ জুনকে ঘিরে সব প্রস্তুতি ততক্ষণে শেষ হয়েছে। ছয় বছর আগে ১৯৬৬ সালের ৭ জুনের সঙ্গে এবারের ৭ জুনের পার্থক্য হলো— আজ থেকে ছয় বছর আগে মহান বিপ্লবের সেই দিনটি ঘুরে ফিরে এসেছে। শোষণের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত নির্যাতিত বাঙালি জাতি উচ্চকিত হয়ে স্বাতন্ত্র্য ও স্বাধীনতার বজ্রকণ্ঠের সংকল্পে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের সেই দিন ছিলেন স্বৈরাচারী আইয়ুবের কারাগারে বন্দি। কিন্তু আজ চিরভাস্বর দেশ বাংলার প্রাণ প্রিয় মানুষের মধ্যে অনন্ত কর্মের প্রেরণা হিসেবে উপস্থিত হবেন তিনি। যে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছেন, সেই মুক্ত দেশে তিনি জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছেন, উদ্যানের সমাবেশে তিনি নতুন কথা শোনাবেন।
জনসভা সার্থক করে তুলতে নেওয়া প্রস্তুতির শেষ পর্বে ৬ জুন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররমের সামনে বিরাট মশাল মিছিল বের হয়। মিছিলে প্রায় অর্ধশতাধিক নারী ছাড়াও গণ্যমান্য অনেক গণপরিষদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। মশাল মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান আব্দুর রাজ্জাক, গণপরিষদ সদস্য সাজেদা চৌধুরী, বদরুন্নেসা আহমেদ, আইভি রহমান এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বর অনেকেই। এই মিছিলে মশাল ছাড়াও বেশকিছু প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল— ‘দুষ্কৃতকারীরা হুঁশিয়ার’, ‘এবারের সংগ্রাম দেশ গড়ার সংগ্রাম’, ‘৭ জুনের জনসভায় যোগ দিন’।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর গৃহীত জাতীয়করণ কর্মসূচি নিয়ে তখনও দ্বিধাবিভক্ত আমলাসমাজ। ব্যাংক ব্যবসায় স্থবিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছিল, যার কারণ হিসেবে সরকারের জাতীয়করণ নীতিকে অলাভজনক বলে প্রমাণ করার ষড়যন্ত্রকে উল্লেখ করা হয়। একত্রিত হয়ে ব্যাংকের এক শ্রেণির আমলারা উঠে পড়ে লেগেছেন বলে পূর্বদেশের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জানা গেছে, ইতোমধ্যে রূপালী ব্যাংকের কর্মচারী ও অফিসারদের মধ্যে বিক্ষোভ এবং ব্যবসায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
পহেলা মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত জাতীয়করণ নীতির ভিত্তিতে সাবেক মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, অস্ট্রেলিয়া ব্যাংক লিমিটেড এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড একত্রিত করে রূপালী ব্যাংক গঠন করা হয়। এই তিনটি ব্যাংককে একত্রিত করা সত্ত্বেও পূর্ব থেকে বিরাজিত বেতন স্কেলের বৈষম্য এখনও বহাল রাখা হয়েছে। ফলে একই পদে কর্মরত অফিসার ও কর্মচারীদের মাঝে বেতনের তারতম্যে চাপা বিক্ষোভ ধুমায়িত হচ্ছিল। রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা নিয়োগের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন অফিসারদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। সাবেক মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেই একীভূত ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও জেনারেল ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ দুটো ব্যাংকের অনুরূপ অভিজ্ঞ কর্মদক্ষতাপূর্ণ যেসব অফিসার আছেন, তাদের সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগানোর কোনও ব্যবস্থা তখনও করা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সবসময় শঙ্কার জায়গা— কোথাও ষড়যন্ত্র চলছে কিনা, সেই প্রশ্ন আবারও সামনে এনে দিয়েছিল দৈনিক পূর্বদেশের এই প্রতিবেদন।
- স্বনির্ভর দেশ গড়তে প্রাণী সম্পদের উৎপাদন বাড়াতে হবে : শামীম
- প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে
- বরিশালে ২০ জেলে ও ২ নৌযান আটক
- গৌরনদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১৭ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা
- সারাদেশে ইন্টারনেটের ধীর গতি
- ইস্টার্ন ব্যাংকে নারী-পুরুষ নিয়োগ, চাকরির ধরন ফুল টাইম
- কমলো হজের খরচ
- হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ শুরু
- প্রাথমিক শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলি আবেদনের সুযোগ
- চেন্নাইয়ের হার ঠেকাতে পারলেন না মুস্তাফিজ-পাথিরানা
- তীব্র তাপপ্রবাহে প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ
- বিদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার সব বিধিনিষেধ তুলে নিলো কুয়েত
- ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তিন ধর্ষকের হাতে স্ত্রীকে তুলে দিলেন স্বামী
- শিব নারায়ণের কর্নিয়ায় আলো ফুটবে দুই অন্ধের চোখে
- বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস ভাতা
- রুমা সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলি, আতঙ্ক
- শান্তিচুক্তির অগ্রগতি জাতিসংঘে তুলে ধরল বাংলাদেশ
- আরও তিন দিন থাকবে তাপপ্রবাহ, কিছু জায়গায় বৃষ্টির আভাস
- বাংলাদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ফি কমাতে ভুটানের প্রতি অনুরোধ
- মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার বাংলাদেশি শ্রমিকরা: জাতিসংঘ
- পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
- সারা দেশে হিট অ্যালার্ট জারি
- হজের আগে ওমরাহকারীদের ফেরার তারিখ জানাল সৌদি
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেল বিজয়ী
- বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি
- শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী
- স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে
- আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন মহাবিপদে: ওবায়দুল কাদের
- ড্রোন হামলার কথা অস্বীকার করলো ইরান, তদন্ত চলছে
- মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনেকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচারণা করছেন প্রার্থীরা
- মঠবাড়িয়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
- মঠবাড়িয়ায় ৯৮০ টি জেলে পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীর মাঝে ঢেউটিন বিতরণ
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- হোয়াটসঅ্যাপে বিভ্রাটের অভিযোগ ব্যবহারকারীদের
- জিয়াউর রহমানের আমলে নারীদের পতিতাবৃত্তি করতে হয়েছে: কাদের
- লাইলাতুল কদরে কী দোয়া পড়বেন?
- ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা ইউজিসির
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-ভুটান তিন সমঝোতা স্মারক সই
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- বরিশালে আট কেজি গাঁজাসহ দুই ভাই গ্রেপ্তার