• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

‌‌‌‘বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিরাপদ ও লাভজনক’

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২১  

দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন খাত সৃষ্টি হওয়ায় দেশের পাশাপাশি বিদেশি ব্যবসায়ী বা বিনিয়োগকারীদের বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। একইসঙ্গে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিষয়েও অঙ্গীকারাবদ্ধ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ড, বিডার যৌথ আয়োজনে ‘চীন-বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ শীর্ষক ওয়েবিনারের বক্তারা এসব কথা বলেন।

বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়িক পার্টনার চীন। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে দু-দেশের মধ্যে আন্তঃসহযোগিতা বা বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে বেশ সচেতন বাংলাদেশ ও চীন।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেয় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাণিজ্যের দিক থেকে বিশ্বে চীন এখন সবচেয়ে কৌশলী। বিগ প্লেয়ার। আমরা চাই বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে। চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পার্টনার।

ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক পার্টনার চীন। আগামীতে আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন বাংলাদেশের। এ বিষয়ে সরকার বিনিয়োগকারীদের সব ধরণের সহযোগিতা ও ছাড় দেওয়ার বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ।  

ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ ও লাভজনক। নিরাপদ পরিবেশ হওয়ায় বিভিন্ন খাতে বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে পারেন বলেও জানান তিনি।

বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগবান্ধব একটি দেশ। বিদেশিদের জন্য নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগের পরিবেশ থাকায় বিদেশিরা কোনো আশঙ্কা ছাড়াই এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন। এছাড়া ব্যবসার সহজীকরণের জন্য বিডা ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছে।

বিদেশিদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে তিনি বলেন, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল, আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি, ইপিজেডসহ বিভিন্ন খাতে বিদেশিদের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে।

এসময় অন্য আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশ অনেক দেশের সাথেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে অনেক এগিয়ে। যা বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থ বিশষজ্ঞ জেড চান বলেন, সার্বজনীন ব্যবহৃত পণ্য হিসেবে বাংলাদেশে মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং এ জোর দিতে হবে। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।  

এতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী সফলভাবে ও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে ইকোনমিক জোনের কাজ। অনেক বিদেশি কোম্পানিই ইকোনমিক জোনগুলোতে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। ইতোমধ্যে একটি মোবাইল কোম্পানির সাথে ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা স্থাপনের বিষয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে বলে জানান তিনি।     

ওয়েবিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদুত লি মিং, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, বাংলাদেশ সিউও নাসের এজাজ বিজয় ও  স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, চায়নার সিইও জেরি চান।