• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

রাজধানীর খালি প্লটে শাক-সবজি চাষ করবে রাজউক

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২২  

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী খালি প্লটগুলোতে ভবন নির্মাণ না হয়ে থাকলে এগুলোতে শাক-সবজির চাষ করতে হবে। ২০২৩ সালের সম্ভাব্য খাদ্যসংকটের বিষয়টি চিন্তা করে বেসরকারি আবাসন প্রকল্পের খালি প্লটগুলোয় শাক-সবজি চাষ হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজউক।
রাজউক থেকে নকশার অনুমোদন নিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে অনেক প্লট। সম্প্রতি এসব খালি প্লটে উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণে করণীয় নির্ধারণ সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।

পরে আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় রাজউক। এ ক্ষেত্রে জমির দখলস্বত্ব অক্ষুণ্ন রেখে শাক-সবজি চাষ করতে হবে।

এ বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, সরকারি-বেসরকারি আবাসনের জায়গা দীর্ঘদিন খালি পড়ে থাকার নজির অনেক। এসব খালি জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ে স্থাপনা তোলা হচ্ছে না। অনেকভাবে উদ্বুদ্ধ করা হলেও নানা অজুহাতে অনেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাজউকসহ সরকারি-বেসরকারি আবাসনের খালি প্লটগুলো অব্যবহৃত রাখা যাবে না। ভবন নির্মাণের সুযোগ থাকলে প্ল্যান পাস করলে বাড়ি নির্মাণ করতে হবে। যদি ভবন নির্মাণে দেরি হয়, তাহলে শাক-সবজি চাষ করতে হবে।

সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা যায়, আবাসন কোম্পানির মালিকানাধীন যেসব জমি খালি রয়েছে, সেগুলোতে নিজ উদ্যোগে এবং যেগুলো বিক্রি করা হয়েছে, সেগুলোর মালিকরা চাষাবাদ করবেন। এছাড়া সবজি চাষের জন্য নিজে অথবা অন্য কাউকে দিয়ে চাষ করার কথাও বলা হয়েছে।

রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা রাজউক থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত আবাসন প্রকল্পগুলোর উদ্যোক্তা কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করেছি। খালি প্লটে শাক-সবজি চাষের বিষয়টি আমরা বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশনকে (বিএলডিএ) চিঠি দিয়ে জানাব। অন্যান্য আবাসন প্রকল্পেও বন্যাপ্রবণ এলাকা ও জলাভূমি সংরক্ষণপূর্বক কৃষি কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হবে।

সভায় রাজউকের উপনগর পরিকল্পনাবিদ আশিকুর রহমান বলেন, অনুমোদিত আবাসন প্রকল্পে অনেক প্লট বছরের পর বছর খালি পড়ে থাকে। অথচ আবাসন প্রকল্পের মূল লক্ষ্য পরিকল্পিত আবাসনের জোগান দেওয়া। সেই মূল লক্ষ্যই ব্যাহত হচ্ছে জায়গাগুলো খালি পড়ে থাকায়। এ জন্য একদিকে সম্ভাব্য খাদ্যসংকট নিরসনে যেমন প্রকল্পের খালি জমি বা প্লটে শাক-সবজির ফলন ঘটাতে হবে, অন্যদিকে প্লট মালিকদের ভবন নির্মাণে তাগিদ দিতে হবে।