• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

পিরোজপুর সংবাদ

ক্যাম্পের হেড মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা, রোহিঙ্গা যুবক গ্রেফতার

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২৩  

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাবেক হেড মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রোহিঙ্গা যুবক আহসান উল্লাহকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।
বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী। এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আহসান উল্লাহ উখিয়ার ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাদের হোসেনের ছেলে। তিনি একই ক্যাম্পের এ/৮ ব্লকের ভলান্টিয়ার মাঝি বলে জানা গেছে।

র‍্যাব জানায়, গত শনিবার সকালে ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আতাউল্লাহকে কুপিয়ে হত্যা করেন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা। আতাউল্লাহ ঐ ক্যাম্পের এ-ব্লকের সাবেক হেড মাঝি এবং বর্তমানে ব্লক-এ/১ এর সাব-মাঝি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। ঘটনার পর আটজনের নাম উল্লেখসহ আরো আট থেকে নয়জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা করেন আতাউল্লাহর ছেলে।

র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, এ ঘটনার পর জড়িতদের ধরতে নজরদারি শুরু করে র‍্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকা থেকে আসামি আহসান উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আহসান উল্লাহ জানান- বছরখানেক আগে আতাউল্লাহকে সরিয়ে সোনা মিয়া নামে এক রোহিঙ্গাকে ১৯ নম্বর ক্যাম্পের এ-ব্লকের হেড মাঝি এবং আতাউল্লাহকে ব্লক-এ/১ এর সাব-মাঝি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি গোলাগুলির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় কারাগারে যান হেড মাঝি সোনা মিয়া। এরপর আতাউল্লাহসহ অনেকেই হেড মাঝি হতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করেন। এ নিয়ে অনেকের সঙ্গে আতাউল্লাহর বিরোধ তৈরি হয়, যাদের সঙ্গে আরসার সু-সম্পর্ক রয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আরসার সঙ্গে মিলে আতাউল্লাহকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা।

পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার সকালে আতাউল্লাহকে ফোন দিয়ে উখিয়ার ১৯ নম্বর ক্যাম্পের এ/৯ ব্লকের মোহাম্মদ ইয়াছিনের দোকানের সামনে যেতে বলেন আহসান উল্লাহ। আতাউল্লাহ দোকানের সামনে পৌঁছালে আট থেকে নয়জন আরসা সদস্য ধারালো রামদা ও ছুরি দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। গ্রেফতারের পর আহসান উল্লাহকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানান র‍্যাব কর্মকর্তা মো. আবু সালাম চৌধুরী।