• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

পিরোজপুর সংবাদ

মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া, মেয়ের বান্ধবীকে হত্যা করলেন বাবা

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২৩  

১৫ দিন আগে কথা। সেন্টুর মেয়ে তানহার সঙ্গে খেলার সময় মারামারি হয় বান্ধবী শিশু ফেহার। ঝগড়ার জেরে ফেহাকে তার বাড়িতে মারতে যান সেন্টু। তখন ফেহার মা মেয়েকে শাসন করার কথা বলে সেন্টুকে নিবৃত করে। এরপর গত রোববার বিকেলে বাবাকে খোঁজ করতে যায় ফেহা। ওই সময় তার বাবাকে দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে ফেহাকে ডেকে নির্মমভাবে হত্যা করে মরদেহ পুকুর পাড়ে ফেলে রাখেন সেন্টু।  
ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর চাটখিলে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে সেন্টু ও বাবাকে গ্রেফতার করে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।

নিহত সাত বছরের ফেহা আক্তার উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের সালামত পাটোয়ারী বাড়ির ফারুক হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার ছাত্রী ছিল। এর আগে, গত ২৬ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি এলাকায়  মোল্লা বাড়ি-সংলগ্ন একটি পুকুর পাড় থেকে শিশু ফেহার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির মিজানুর রহমান সেন্টু ও  তার বাবা আব্দুস সাত্তার।

চাটখিল থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন আগে গ্রেফতারকৃত সেন্টুর সাত বছরের মেয়ে তানহার সঙ্গে খেলাধুলা করার সময় মারামারি হয় ফেহার। এসময় সেন্টু ফেহাকে তার বাড়িতে মারতে যান। তখন ফেহার মা সেন্টুকে নিজের মেয়েকে শাসন করার কথা বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন সেন্টু। এরই জেরে গত রোববার বিকেলে বাড়ির পাশে ক্ষেতে বাবাকে খুঁজতে যায় ফেহা। ওই সময় ক্ষেতের পাশে বসা ছিলেন সেন্টু।

ওই সময় তার বাবা দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে ফেহাকে ডেকে নেন সেন্টু। একপর্যায়ে ফেহাকে হত্যাকে করে মরদেহ তার বাড়ি থেকে দূরে পুকুর পাড়ে ফেলে দেন সেন্টু। এরপর জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়ে ফেহার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফেহার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় মামলা করেন ফেহার বাবা। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।