• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২৪  

সড়কপথের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়কের ৮টি ওভারপাস ও ২টি সেতু খুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের টোল প্লাজার সকল লেনে চালু করা হয়েছে ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) পদ্ধতি।
শনিবার সচিবালয়ে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এই ওভারপাস ও সেতুতে যানবাহন চলাচল কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় ঢাকা প্রান্তে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়কে নির্মিত ১টি রেলওভারপাস, ৭টি ওভারপাস ও ২টি সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো। আজ থেকে বগুড়ার তিনমাথা রেলগেটে ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ১টি রেলওভারপাস, ২টি সেতু-সিরাজগঞ্জে ৫৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে দাতিয়া সেতু ও ৩২ মিটার দৈর্ঘ্যরে ফটকি সেতু ছাড়াও সিরাজগঞ্জে ৩৯ মিটার দৈর্ঘ্যরে মুলিবাড়ি ওভারপাস, ৩৯ মিটার দৈর্ঘ্যরে পাঁচিলা ওভারপাস ও ৩৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে দাতপুর ওভারপাস, বগুড়ায় ১৫৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে বি-ব্লক ক্যান্টনমেন্ট ওভারপাস ও ১৭৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে ফুলতলা ওভারপাস, রংপুরে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ধাপেরহাট ওভারপাস এবং ৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে মির্জাপুর ওভারপাস যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো। এর ফলে উত্তরাঞ্চলের ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক হবে। রাস্তায় গাড়ির চাপ রয়েছে, তবে যানজট নেই। রাজধানীতেও যানজট নেই।’
প্রকল্প সূত্র জানায়, ১৯ হাজার ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯০.৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়কটি সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) করিডর, এশিয়ান হাইওয়ে-২, বিমসটেক-২ এবং সার্ক হাইওয়ে করিডর-৪’র অংশ। বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে সাসেক-২ প্রকল্পের মাধ্যমে ধীরগতি সম্পন্ন যানবাহনের জন্য পৃথক লেনের সংস্থানসহ মহাসড়কটিকে ৬-লেনে উন্নীত করা হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে পৃথক গ্রেডবিশিষ্ট একটি ইন্টারচেঞ্জ, ৫টি ফ্লাইওভার, ৩২টি সেতু ও ৩৯টি ওভারপাস নির্মাণের সংস্থান রয়েছে। যার মধ্যে ১৪টি সেতু, ১টি ফ্লাইওভার ও ১৫টি ওভারপাস ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। প্রকল্পের আওতায় আরও ১টি রেলওভারপাস, ৭টি ওভারপাস ও ২টি সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে, যা শনিবার উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো।
এ ছাড়া অনুষ্ঠান থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের টোল প্লাজার সকল লেনে ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) পদ্ধতির উন্মুক্তকরণ ও মেঘনা সেতু টোল প্লাজা-২ এর শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় অনুষ্ঠান থেকে জানানো হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতু ও মেঘনা-গোমতী সেতুর টোলপ্লাজায় ২০১৬ সাল থেকে সীমিত পরিসরে একটি করে লেনে ইটিসি কার্যক্রম চালু আছে। মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজায় বিদ্যমান কমসংখ্যক টোল বুথগুলোর মাধ্যমে যানবাহন থেকে টোল কালেকশন, বিশেষ করে ঈদের সময় যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

ফলে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষমাণ থেকে টোল পরিশোধ করার কারণে জনভোগান্তি বেড়ে যায়। সে প্রেক্ষাপট বিবেচনায় টোল কালেকশনকে অধিকতর প্রযুক্তি নির্ভর করা এবং জনভোগান্তি লাঘবে বিদ্যমান মেঘনা সেতু টোল প্লাজার পাশে নতুন আরেকটি টোল প্লাজা নির্মাণ করা হয়।
আরও জানানো হয়, ঢাকা জোনের আওতায় আনুষঙ্গিক অন্যান্য সুবিধাসহ প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন এ টোল প্লাজায় ৬টি নতুন টোল কালেকশন বুথের সংস্থান রয়েছে। ফলে বিদ্যমান পুরনো টোল প্লাজা ৬টি এবং নবনির্মিত মেঘনা টোল প্লাজা-২ এর নতুন ৬টিসহ সর্বমোট ১২টি টোল বুথের মাধ্যমে টোল কালেকশন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
১২টি টোল বুথের সবকটিতেই ক্যাশ ও ক্যাশলেস (ইটিসি) ট্রানজেকশনের মাধ্যমে টোল দেওয়া যাবে। ফলে যেসব যানবাহন ইটিসি পদ্ধতিতে টোল দেবে তারা বিরতিহীনভাবে অর্থাৎ টোল প্লাজায় না থেমেই দ্রুততম সময়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। এতে টোল প্লাজায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টোল দেওয়ার চিরাচরিত ভোগান্তি আর থাকবে না।