• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

রাফা আক্রমণের পরিকল্পনায় চাপের মুখে ইসরায়েল

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর থেকেই ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা ভিড় করতে শুরু করে দক্ষিণ গাজার শহর-রাফায়। এবার সেই রাফায় আক্রমণের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তারপর থেকেই পশ্চিমা বিশ্বের চাপের মুখে পড়েছেন তিনি। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, গাজার অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা এই এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে, তিনি রাফার শরণার্থীদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যাঙ্কে ব্রুইনস স্লট বলেছেন, রাফায় আক্রমণ চালালে অনেক বেসামরিক নাগরিক হতাহতের শিকার হতে পারে। তিনিও পরিস্থিতিকে গভীর উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন।

একই রকম কথা বলেছে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসও।

এদিকে, রাফায় হামলা চালালে এর ‘পরিণতি খুবই খারাপ’ হবে বলে সতর্ক করেছে সৌদি আরব। এক বিবৃতিতে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি পুনরাবৃত্তি করেছে।

হামাসের বিরুদ্ধে সম্প্রসারিত আক্রমণের আগে রাফা থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নিতে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। এর একদিন পরই শনিবার, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তাগুলো এলো।

ইসরায়েলকে সতর্ক করে আগেই যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, গাজায় আক্রমণের অংশ হিসেবে রাফা শহরে হামলা চালালে তা বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনবে। পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে ইইউ এবং জাতিসংঘও।

হামাসের সর্বশেষ প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির শর্তও প্রত্যাখ্যান করেছেন নেতানিয়াহু।

এদিকে মানবাধিকার কর্মী ও সাহায্যকারী দলগুলো বলছে, মিসর সীমান্তবর্তী রাফা শহর থেকে সবাইকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এরপর পরই হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় আগ্রাসন চালায় ইসরায়েল। দুপক্ষের যুদ্ধে ইসরায়েলের অন্তত ১২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। আর গাজায় অন্তত ২৭ হাজার ৯০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৬৭ হাজার জন।

ওই সময় বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীর বেশিরভাগই রাফায় আশ্রয় নেন। ধারণা করা হচ্ছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর অন্তত ১০ লাখ ৫০ হাজার শরণার্থী রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। বাকিরা আশ্রয়ের জন্য ঘুরছে। তাদের বেশিরভাগই ঘরবাড়ি হারিয়ে তাঁবুতে বাস করছে।