• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ইসরায়েলে হামলার প্রস্তুতি ইরানের, বেড়েছে আঞ্চলিক উত্তেজনা

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২৪  

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান। হুমকির পর থেকেই বেড়েছে আঞ্চলিক উত্তেজনা। এই উত্তেজনা বাড়ার কিছু বিষয় তুলে ধরেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এই মাসের শুরুতে ইরানের দূতাবাসে হামলা করেছিল ইসরায়েল। ওই হামলায় দুই ইরানি জেনারেল নিহত হয়েছেন।

ইরান বলেছে, দূতাবাসে হামলা করা মানে আমাদের নিজেদের ভূখণ্ডে হামলা করার সমান। সূত্র বলছে, হিজবুল্লাহর মতো প্রক্সি যোদ্ধার পরিবর্তে ইরান নিজেই ইসরায়েলে আক্রমণ করতে পারে।

এই পরিস্তিতিতে মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণে নাগারিকদের সতর্ক করেছে ভারত, ফ্রান্স ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ। ইতোমধ্যে গাজা যুদ্ধে সতর্কতা জারি করে রেখেছে তারা। গাজা যুদ্ধের সাত মাস চলেছে।

ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলে হামলা চালানোর চেষ্টা করবে ইরান। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে কূটনৈতিক উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও আমরা ইসরায়েলকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করব এবং ইরানকে সফল হতে দেবো না।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ইরানি সূত্র ও কূটনীতিকরা বলছেন, উত্তেজনা এড়াতে চায় ইরান। এছাড়া এ বিষয়ে তাড়াহুড়ো করবে না দেশটি।

একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, আঞ্চলিক প্রতিরোধ প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী এবং মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষা বাড়াতে এই অঞ্চল থেকে অতিরিক্ত সম্পদ সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ইরানের সঙ্গে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই যুক্তরাষ্ট্রের। তাই মিত্রদেরও ইরানের সঙ্গে তাদের প্রভাব ব্যবহার করে সংযমের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এই সপ্তাহের শুরুতে সতর্ক করে বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। এর মানে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।

এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের জন্য নতুন নির্দেশ জারি করেনি। তবে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ইসরায়লি বাহিনী। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রস্তুত রয়েছে তারা।

ইসরায়েলে সরাসরি হামলা ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে ইরানের। এদিকে, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে করেছে ইসরায়েল। যা গাজা থেকে হামাস এবং লেবানন থেকে হিজবুল্লাহর নিক্ষেপ করা হাজার হাজার রকেটকে বাধা দিয়েছে।

সীমান্তের দুই পাশে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। উত্তর সীমান্তে যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য রিজার্ভ সেনাদের এসেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। কারণ হিজবুল্লাহর সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষ হয়।